ভিসি পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে

এবার আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ ট্রেজারার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি শামসুর রহমান-এর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামলেন ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

দুর্নীতির সঙ্গে আপস নাই-দুর্নীতিমুক্ত জাককানইবি চাই, প্রশাসনের দুর্নীতি মানিনা মানব না, বাক স্বাধীনতা হরণ করা চলবে না চলবে না, হুশিয়ার সাবধান জেগে আছে জাককানইবির সন্তান, যোগ্য পদে যগ্য ব্যাক্তি চাই, এ লজ্জা কোথায় রাখি এসব বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মিছিল করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসির নানা অনিয়ম অভিযোগের সংবাদ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর এবং তার আত্মস্বীকৃত দূর্নীতির খবর মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন মহলে থেকে তাঁর পদত্যাগের দাবি জানানো হয়।

আন্দোলনে সহকারী অধ্যাপক রেজওয়ান আহমেদ শুভ্র বলেন, মিডিয়াতে নিজের মুখে নিজের দুর্নীতির এমন স্বীকারোক্তির পরও ঐ পদে এমন অযোগ্য প্রশাসক পুরো জাতির জন্য ঘৃনিত । তিনি আরো বলেন পুরো জাককানইবি ক্যাম্পাস আজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে।

Post MIddle

রবিবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেলা ১২টায় থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তারা এই আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন।

এই আন্দোলনে কর্মসূচিতে অংশ নেন- সহকারী অধ্যাপক মাসুম হাওলাদার, রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র, মুহাম্মদ রুহুল আমিন, সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, মোঃ তুহিনুর রহমান, সুশান্ত কুমার সরকার, দেবাশীষ বেপারী, মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন বিভিন্ন বিভাগের প্রভাষক সাধারণ শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এদিকে লোক প্রসশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার মুখার্জী বলেন, জাতীয় কবির নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব দুর্নীতি-অনিয়ম আমাদের জাতীয় কবির সম্মানকে পদদলিত করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীদের সম্মান হানি করছে অতিদ্রুত ট্রেজারারের পদত্যাগ দাবি করছি তা না হলে জাতির বিবেক শিক্ষার্থীরা আরো বড় ধরনের আন্দোলনের ডাক দেবে।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এখানে আমাদের কিছু করার নাই যেহেতু মিডিয়াতে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এসেছে এবং ক্ষোভ প্রকাশ করে শুনেছি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলনেও নেমেছে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং সরকারের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেটাই বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করবে।

 

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট