বাকৃবিতে অতিবর্ষণে জলাবদ্ধতা

অতিবর্ষণের কারণে আবারও জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার ও শনিবার বৃষ্টির পানিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলেও ঢুকেছে পানি। এমনকি নিচতলার কক্ষগুলোতে সয়লাব হয়ে গেছে পানিতে। এতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। হলের ভেতরের পানি নিষ্কাশন ড্রেন অগভীর, সরু ও ময়লা আবর্জনা জমে থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত জুনে ভারী বর্ষণে হলের কক্ষে পানি ঢুকলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আবারো তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে হলের আবাসিক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

Post MIddle

জানা যায়, শুক্রবার ও শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইদিনের বৃষ্টিতে শাহজালাল হল, শহীদ শামসুল হক হলের নিচতলার প্রতিটি কক্ষে এবং ওই হলগুলোর ডাইনিং, ক্যান্টিনেও পানি ঢুকে যায়। পানিতে একাকার হয়ে যায় হলের করিডোরগুলোও। পানিতে প্লাবিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সংযোগ সড়ক। শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসিক এলাকার কোয়ার্টারের নিচতলার বাসিন্দারাও টানা বর্ষণের কারণে বিপাকে পড়েছেন। তাদের অনেকের বাসায়ও পানি প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে।

শাহজালাল হল ও শহীদ শামসুল হক হলের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নাজুক থাকায় হলের কক্ষে পানি ঢুকেছে। এঅবস্থায় তারা নিজেদের কক্ষ ছেড়ে উপরতলায় আশ্রয় নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা দ্রুত ড্রেনগুলো প্রশস্ত ও গভীর করে খনন করে এ সমস্যা সমাধানের দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শাহজালাল হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. গোপাল দাস জানান, হলটি অনেক পুরাতন এবং হলের নিচতলার ফ্লোর অনেক নিচু হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।

পছন্দের আরো পোস্ট