ড্যাফোডিল স্কুলে ‘আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস’ উদযাপন
মানব বন্ধন ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উদযাপন করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ধানমন্ডি সোবহানবাগে অবস্থিত ড্যাফোডিল টাওয়ারের সামনে শান্তি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য শান্তি, সবার জন্য শ্রদ্ধা, নিরাপত্তা ও সম্মান’ শীর্ষক প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে। এরপর ড্যাফোডিল টাওয়ারের ৭১ মিলনায়তনে তারা শান্তি বিষয়ক একক বক্তৃতা, অভিনয়, নাটিকা পরিবেশন, ভিডিও প্রামান্যচিত্র উপস্থাপন ইত্যাদির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের প্রতিপাদ্যকে তুলে ধরে।
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষে ইউনেস্কোর পরিচালক ইরিনা বোকোভার পাঠানো বার্তা পাঠ করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল রহিমা কে মির্জা রোজমেরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, প্রিন্সিপাল শাহানা খান ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক চেরি গোমেজ।
অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বলেন, শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই একটি শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়ার জন্য এখন থেকেই শিশুদেরকে শান্তির পক্ষে সোচ্চার হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এই শিশুরাই গড়বে আগামীর সুন্দর পৃথিবী।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনার মধ্যেই নিজেদেরকে আবদ্ধ রাখে না উল্লেখ করে ড. মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বলেন, এই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিত ইস্যুতেও ইতিবাচকভাবে অংশ গ্রহণ করে। কিছুদিন আগে তারা উত্তরবঙ্গের বন্যার্তদের সাহায্যার্থে তহবিল সংগ্রহ করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ত্রাণ তহবিলে প্রদান করেছে বলে জানান তিনি।
ড. মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান আরো বলেন, পৃথিবীর কোনো ধর্মই সহিংসতা সমর্থন করে না। সব জাতি-ধর্মের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করার নামই শান্তি। সুতরাং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এসময় তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়তে অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে গ্রেড-২ থেকে গ্রেড-৭ এর শিক্ষার্থীরা পর্যায়ক্রমে ‘পরিবারে ও বন্ধু সমাজে শান্তি’, ‘সুন্দর বনে শান্তি প্রতিষ্ঠা’, ‘রোহিঙ্গা সংকট’, ‘সিরিয়া সংকট’, ‘কাশ্মির সমস্যা’ ও ‘বিশ্বযুদ্ধ’, বিষয়ে একক বক্তৃতা ও পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রামান্যচিত্র উপস্থাপন করে।