১৫ বছর পর ইবির সমাবর্তন
দীর্ঘ ১৫ বছর পর অবশেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী বছর জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার ভাইস চ্যান্সেলরের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ, ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা যুবাইর আলম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফারুক, ইবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসাইন রুদ্রসহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিকরা।
এর আগে গত বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটায় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা ও রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলর ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তনের অনুমতি ও সময় নির্ধারণ করেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৮০ অনুচ্ছেদ ৮(১) অনুযায়ী ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর থাকিবেন এবং উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানসমূহে একাডেমিক ও সম্মানসূচক ডিগ্রী প্রদানের জন্য সভাপতিত্ব করবেন। এবারের সমাবর্তন থেকে মোট ৩৮ হাজার ৪’শ নব্বই জন গ্রাজুয়েট তাদের সনদপত্র গ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের ২৭ এপ্রিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ২য় ও ২০০২ সালের ২৮ মার্চ তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।