সাদার্নে শিশুশ্রম বিষয়ক সেমিনার
সাদার্ন ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের উদ্যোগে “ ইনস্টিটিশনালাইজেশন অ্যান্ড ইন্টারপেল্লেশান ইন উইলিয়াম ব্লেকঃ দ্যা চিনমি সুইপার” বিষয়ক সেমিনার আজ বুধবার কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি উইলিয়াম ব্লেকের শিশু শ্রম বিষয়ক চিমনি সুইপার নিয়ে রচিত দুটি কবিতার দৃশ্যপট সেমিনারে উপস্থাপন করা হয়।
ইংরেজী বিভাগের প্রধান শাফিন মোহাম্মদ জন’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নুরুল মোস্তফা। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগের শিক্ষক শিমুল ভট্টাচার্য। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর শামসুজ্জামানসহ বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দ।
শিমুল ভট্টাচার্য প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, পুঁিজবাদ সমাজ ব্যবস্থায় যুগে যুগে শিশু শ্রমের মত আমানবিকতা ঘটে আসছে। এখনো বিশ্বের অনেক দেশে শিশু শ্রমের নামে বর্বরতা চলছে। ১৭৮৯ ও ১৭৯৪ সালে রচিত বিখ্যাত রোমান্টিক কবি উইলিয়াম ব্লেকের দুটি কবিতায় চিমনি সুইপার বা ক্লাইম্বিং বয়দের মর্মভেদী যন্ত্রণা উঠে এসেছে। মূলত সপ্তাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে বড় আকারে চিমনি সুইপ ব্যবসার প্রচলন শুরু হয়।
তবে ভিক্টোরিয়ান যুগে কিংবা ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক থেকে এই পেশা প্রকট আকার ধারণ করে। চিমনি সুইপদের পুরো কাজটাই ছিলো অনেকটা গুরুমুখি বিদ্যার মতো। একজন মাস্টার সুইপের অধীনে অনেকগুলো শিশু কাজ করতো।
আনুগত্য এবং পরিশ্রমের বিনিময়ে কেবল দু’বেলা খাবার আর শোবার জন্য একটা গণরুম জুটতো এই শিশুদের। সময়ের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু শিশু শ্রমের বর্বরতা বন্ধ হয় নি।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নুরুল মোস্তফা বলেন, আইনে শিশু শ্রম নিষিদ্ধ হলেও দেশের সর্বত্র শিশু শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা যায়। শুধু আমাদের দেশে নয় এশিয়া, উত্তর আমিরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশে এ চিত্র দৃশ্যমান।