জাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক দায়েরকৃত উপাচার্যের বাসভবন ভাংচুর ও হত্যা প্রচেষ্ঠা মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতিতে অবরোধ কর্মসুচী প্রত্যাহার করে নিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত ৩১ জুলাই থেকে টানা চারদিন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

গত বৃহষ্পতিবার সকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করার আশ্বাস দেন।
ফলে অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শিথিল করে আলোচনায় বসতে রাজি হয়।

গতকাল বিকাল থেকে র্দীঘ ৯ ঘন্টার আলোচনার মাধ্যমে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সমঝোতার ভিক্তিতে প্রশাসন মামলা প্রত্যাহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়।এ প্রতিশ্রুতিতে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষনা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

Post MIddle

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে জাবি সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হেসাইন বলেন- ”বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে, তারা আমাদেরকে মামলা প্রত্যাহারের পুর্ন আশ্বাস দিয়েছে,মামলা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে যা করার দরকার তাই করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাই আমরা প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছি”।

এদিকে গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,”বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভুত সমস্যার সন্তোষজনক সমঝোতা হয়েছে,সমস্যার সমাধানে সহায়তা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছে বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হযেছে”।

উল্লেখ্য,গত ২৬ মে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবোরোধ করলে পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্য, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
উক্ত ঘটনার জেরে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করেন এবং এতে কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৫৬ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ইতিপূর্বে অনশন কর্মসুচী পালন করেও বিষয়টি নিয়ে কোন সুরাহা না হওয়ায় গত ৩১ জুলাই থেকে টানা চার দিন সাধারন শিক্ষর্থীরা বিশ্ববিদ্যলিলয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখে।

পছন্দের আরো পোস্ট