অ্যাম্বুলেন্সের বিশেষ হর্ণ এখন শিক্ষার্থীদের আতঙ্ক !

রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স নির্ধারিত হর্ণ বাজালে বোঝা যায় রোগী পরিবহন করছে। রোগীর জীবনরক্ষার্থে সড়কে চলাচলকারী অন্য যানবাহনগুলো অ্যাম্বুলেন্সকে দ্রত সাইড দিয়ে দেয়। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, এখন প্রতিনিয়ত ফায়ার সার্ভিস, পুলিশের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সের এই বিশেষ হর্ণ বা শব্দগুলো সাধারণ যানবাহনগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে।

মোটরযান আইনে হাইড্রোলিক হর্ণ বাজানো নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছে না কতিপয় মোটরযান চালকরা। বিশেষ করে কতিপয় মোটরসাইকেল চালক সড়কে বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালানোর সময় অতি উৎসাহে জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষে যত্রতত্র ওই হর্ণ ব্যবহার করছে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে ব্যাটারি চালিত অটো ও রিক্সাগুলো। এসব সাধারণ যান চলাচলে গুরত্বপূর্ণ এসব হর্ণ বাজিয়ে অতিরিক্ত শব্দ আতঙ্ক সৃষ্টি করছে রাস্তায় চলাচলরত সাধারণ ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মনে।

Post MIddle

রাজধানী সহ দেশের বিভাগীয় শহর, জেলা এবং বিভিন্ন উপজেলার সড়কে চলাচলকারী মোটর সাইকেল ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, কতিপয় যুবক মোটর সাইকেল চালানোর সময় পুলিশের গাড়ির হর্ণ ব্যবহার করছে। বিশেষ করে রাস্তা দিয়ে স্কুল, কলেজগামী মেয়েরা যাতায়াতের সময় ইভটিজিং বা টিজ করার উদ্দেশ্যে হঠাৎ করেই বাজানো হচ্ছে ওই হর্ণ। ওই সকল মোটর সাইকেল পর্যবেক্ষণ করে আরো দেখা যায়, মোটর সাইকেলগুলোর অধিকাংশই লাইসেন্সবিহীন।

এভাবে গুরত্বপূর্ণ গাড়ির হর্ণগুলো যত্রতত্রভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষদের মধ্যে সচেতনতাবোধটুকু ভবিষ্যতে আর আশা করা যাবে না। যার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে গুরত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত ফায়ার সার্ভিস, পুলিশের পিকঅ্যাপ এবং অ্যাম্বুলেন্স। তাই সাধারণ জনগণের আশা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাতে দ্রুত এসব মোটর সাইকেল এবং ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার হর্ণ, গাড়ির গতিবিধি এবং লাইসেন্স পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে যথাযথ ভূমিকা পালন করে।

মনিপুরী স্কুলের শিক্ষার্থী দিপু বলে, আমরা রাস্তা দিয়ে চলার সময় সাইরেনের মতো শব্দ হয়। এতে আমাদের মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা হয়।

পছন্দের আরো পোস্ট