ড্যাফোডিলের সেমিনারে আসছেন ড.অচ্ছুত সামন্ত

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এন্ট্রাপ্রিনিয়রশীপ ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত “সামাজিক উদ্যোক্তা” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে যোগ দিতে বাংলাদেশে আসছেন ভারতের বিখ্যাত কেআইআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কলিঙ্গ ইন্সটিটিউট অব ইন্ডাসট্রিয়াল টেকনোলজি-) ও কলিঙ্গ ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সাইন্স এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. অচ্ছুত সামন্ত।

আগামী ২৭ জুলাই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিলনায়তন ৭১-এ সকাল ৯-৩০ মিনিটে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এ পর্বে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, দেশ বরেণ্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সরকারি ও বেসরকরি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। সেমিনার শেষে কলিঙ্গ ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্স ও ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সাইন্স এর সাথে বিভিন্ন অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত ছিন্নমূল শিশুদের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও উন্নত জীবনমান নিশ্চিতকল্পে একটি পারস্পরিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান।

ড. অচ্ছুত সামন্তকে বলা হয় ওড়িষ্যার বিস্ময় ব্যক্তিত্ব। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে একক প্রচেষ্টায় ভারতের ওডিষ্যার রাজধানী ভুবনেশ্বরে গড়ে তুলেছেন অসাধারণ দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা কেআইআইটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলিঙ্গ ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সাইন্স। অচ্ছুত সামন্তকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে মূলত কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্স এবং এর ২৫ হাজার আদিবাসী ছাত্রছাত্রী।

Post MIddle

এখানে পড়ার সুযোগ রয়েছে প্রথম শ্রেণি থেকে একদম স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে বিনামূল্যে থাকা, খাওয়া, বিনোদন, খেলাধুলা, স্বাস্থ্যসেবা, কম্পিউটার ল্যাব, কনফারেন্স ল্যাব ও ওয়াই-ফাই সিস্টেমের ব্যবস্থা। এছাড়া এখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থী পড়ালেখার সঙ্গে সঙ্গে পায় কারিগরি প্রশিক্ষণ।

ড. অচ্ছুত সামন্তের জন্ম ১৯৬৫ সালে ভারতের ওডিষ্যায়। ছোটকালে বাবাকে হারিয়ে নিদারুণ দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন অচ্ছুত। রসায়ন শাস্ত্রে এমএসসি ডিগ্রি নিয়েছেন উৎকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর পেশাজীবন শুরু করেন কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করার পর ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন কিট  । এর ঠিক এক বছর পর প্রতিষ্ঠা করেন কিস ।

অচ্ছুত সামন্ত এ পর্যন্ত ২৫টি উপাসনালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ২০০০ সাল থেকে ‘খুদে মিস ইন্ডিয়া’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছেন। এছাড়া মহাত্মা গান্ধীর স্মরণে একটি আদিবাসী জাদুঘর নির্মাণ করছেন যার নাম ‘গান্ধী গ্রাম’। তিনি তাঁর কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ দক্ষিণ কোরিয়ার হানসিওসহ ভারতের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি দেশ থেকে পেয়েছেন নানা পুরস্কার।

পছন্দের আরো পোস্ট