শিশুরা আমার বই হাতে নিয়ে দেখবে,এটা ভাবতেই ভাল লাগে

ছোট্ট ছেলে আজহারুল হক ফরাজী, ইচ্ছে ছিল বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করবেন। কিন্তু পরিবারের চাপে তাঁকে পড়তে হয়েছে কমার্স বিষয়ে। তাই বলে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহটা এতটুকুও কমেনি।

স্কুলে থাকতেই প্রথম আলোতে লেখালেখির শুরু করেন তিনি। এরপর ইত্তেফাকসহ আরো বেশ কিছু পত্রিকায় লিখেছেন। তবে কোথায় যেন একটা অপূর্ণতা কাজ করতো ছেলেটির। আর সেই অপূর্ণতাকেই পূর্ণতা দিতে কাজ শুরু করেন বিজ্ঞান নিয়ে।

প্রথমদিকে লেখক আজহারুল হক ফরাজী ভাবতে শুরু করেন, দেশের মানুষকে আর একটু সহজে কীভাবে বিজ্ঞান বুঝিয়ে ফেলা যায় বা ছোট ছোট বিজ্ঞানের বিষয়গুলোকে সহজ করে দেওয়া যায়।  মোশতাক আহমেদের গড়ে তোলা বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি সে ভাবনার সাথে যুক্ত হতে তাকে উৎসাহিত করে।

কেমন আছেন?

আজহারুল হক ফরাজী : এইতো, চলে যাচ্ছে। পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত আছি। আর পত্রিকা নিয়েও।

এখন কোথাও আছেন? কোনো পত্রিকায়?

আজহারুল হক ফরাজী : না। আপাতত সাংবাদিকতা ছেড়েছি। এখন পুরোপুরি লেখক।

তাহলে কী নিয়ে ব্যস্ত ইদানিং?

Post MIddle

আজহারুল হক ফরাজী : অনেকদিন আগে জাফর ইকবাল স্যারের সাথে কথা হচ্ছিল। আমি ছোটবেলা থেকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাসা থেকে সেটা দেওয়া হয়নি। একরকম পারিপার্শ্বিক চাপে পড়েই কমার্স নিই। তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল কিছু একটা করব। তাই জাফর স্যার যখন বললেন, আমাদের দেশের মানুষ বিজ্ঞান খুব খটমটে হওয়ায় সেটা নিয়ে আগ্রহ দেখায় না, তখন আমি ভাবলাম কেন একটা এমন কিছু করি না যেটা আমাদের সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহী করে তুলবে। সেই থেকেই শুরু হলো বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটির কাজ।

এই সোসাইটির কাজ কী?

আজহারুল হক ফরাজী : এই সোসাইটির কাজ মানুষকে বিজ্ঞানের আরো কাছে নিয়ে আসা। এটাই করতে চাইছি আমরা। আমার সাথে এখানে আরও আছেন মোশতাক আহমেদ, শাহাদাত হোসেন, ফরিদ ভাই, আমিনুল ইসলাম, আফজাল হোসেনসহ প্রমুখ ব্যক্তিত্ব।

বিজ্ঞান আনন্দ ম্যাগাজিন সম্পর্কে কিছু বলেন।

আজহারুল হক ফরাজী : জ্বি, ম্যাগাজিনটিতে বিজ্ঞানের বিভিন্ন মজার বিষয় নিয়ে লেখা হয়। এখানে লেখকেরা মজার মজার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখেন।

একুশে বইমেলা ২০১৭ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?

আজহারুল হক ফরাজী : একটা বই প্রকাশিত হবে। নাম ‘আমার রবিন্দ্রনাথ’। অনিন্দ্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশ পাবে এটি। মোট ৫ টি বই আছে আমার। এর ভেতরে ছোটমণিদের জানা অজানা ও সাধারণ জ্ঞান নামে একটি বই ভিকারুন্নেসাসহ বিভিন্ন স্কুলে পাঠ্যবই হিসেবে পড়ানো হয়। শিশুরা আমার বই হাতে নিয়ে দেখবে, এটা ভাবতেই ভাল লাগে।

ধন্যবাদ, আপনার মূল্যবান সময়ের কিছু অংশ আমাদের দেয়ার জন্য।

পছন্দের আরো পোস্ট