সাপ আতঙ্কে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিষধর সাপের উপদ্রব বেড়েছে। আবাসিক হল, রান্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে এসব সাপের উপদ্রবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকাসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান ঝোঁপঝাড়ে পূর্ণ হয়ে আছে। প্রচন্ড গরমের কারণে সন্ধ্যার পর এসব বিষধর সাপ ঝোঁপঝাড় থেকে প্রতিনিয়ত বের হচ্ছে। সাপের উপদ্রব রোধে কোন ব্যপস্থা না থাকায় আবাসিক হল, রাস্তাঘাটসহ এসব সাপ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সোহেল রানা বলেন, শুক্রবার রাতে লালন শাহ হলের ভিতরে একটি বিষাক্ত সাপ প্রবেশ করে। এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সাপটিকে মেরে ফেলা হয়।

সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইউসুব আলী বলেন, গত বৃহষ্পতিবার রাতে হলের সামনে একটি বিষাক্ত সাপ বের হয়। শিক্ষার্থীরা তৎক্ষণাত লাঠি দিয়ে মেরে ফেলে।

Post MIddle

কিছুদিন আগে ছাত্রীহলের ভিতরে সাপ প্রবেশ করলে আবাসিক ছাত্রীরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে।

একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘ক্যাম্পাস ঝোঁপঝাড়ে ভরে গেছে। সাপের ব্যপক উপদ্রব হওয়ায় আবাসিক হলে বিশেষ করে নিচ তলায় অবস্থান আতঙ্কজনক হয়ে উঠেছে। যে ভাবে সাঁপ বের হচ্ছে তাতে পথে ঘাটে চলাচলও ঝুকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যায় হলের সামনে বা ক্রিকেট মাঠে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় সাঁপ আতঙ্ক বিরাজ করে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে যে কোন সময় বড় ধরনে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য সাপ নিধনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’

প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমান বলেন,‘আমি দ্রুত সাপ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। তাছাড়াও সকল হল প্রভোস্টদের এ বিষয়ে জরুরী পদক্ষেপ নিতে বলব।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন,‘সাপ রোধে ব্যবহৃত এসিড দ্রুত ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলের আশপাশে সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হবে।’

পছন্দের আরো পোস্ট