মেধাবীর মেধা জয়ের গল্প

শাহিন আলমের যেন কাল হয়েছে জিপিএ-5 পাওয়া। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে তার এই অসাধারণ কৃতিত্বের খবর শুনে গ্রামের মানুষ দেখতে আসছে শাহিনকে। দেখার একটি মাত্র কারণ হতদরিদ্র দিনমজুর পরিবারের সন্তান। ঘর নেই, দোর নেই, নেই জায়গা জমি, অভাব যাদের নিত্য সঙ্গী সেই পরিবারের সন্তান কিনা এতো ভাল রেজাল্ট করলো ? আর শাহিন আলমই একমাত্র ছাত্র যে চন্ডিপুর বিষ্ণুপদ স্কুল এন্ড কলেজ থেকে জিপিএ-5 পেয়েছে।

মাত্র তিন শতক জমির উপর তাদের বাড়ি। ঘর বলতে পাটকাঠির বেড়া দেওয়া দোচালায় পড়ালেখা করে শাহিন আলম। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চন্ডিপুর বাজার সংলগ্ন পশ্চিম বিষয়খালী গ্রামে তাদের বাড়ি। আমরা যখন তাদের বাড়ির উপরে যায়, তখন বাবা আব্দুস সাত্তার মাঠে পরের জমিতে কামলা (দিনমজুর) খাটতে গেছেন। মা সাহিদা খাতুন ঘর গৃহস্থের কাজে ব্যস্ত। ছোট ভাই শা্হাদত হোসেন আর একমাত্র বোন সুরাইয়া গেছে খেলতে। পরিচয় পেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললো শাহিনের মা সাহিদা খাতুন। সেই শ্বাস যেন লক্ষভেদী, আমাদেরও নাড়া দিয়ে গেল।

জানালেন অনলাইনে ভর্তি শুরু হলেও এখনো টাকা জোগাড় করতে পারেনি শাহিনের বাবা। ছেলের ইচ্ছা ঝিনাইদহ সরকারী কেসি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। কিন্তু সে সামর্থ নেই পরিবারের। ছাত্র জীবনে টাকার অভাবে প্রাইভেট পড়তে পারেনি শাহিন। গ্রামের টিচার হিসেবে মাঝে মধ্যে দেখিয়ে দিতেন। নিষ্ঠা, যত্ন আর নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে মেধা জয় করা শাহিন এখন অসহায়। ভর্তির জন্য বাবা কবে টাকা জোগাড় করবে সেই আশায় বসে আছে বাড়িতে।

Post MIddle

শাহিনের অসহায় পরিবারটি সমাজের বিত্তবানদের কাছে ছেলের ভর্তি ও পড়া লেখা করার আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি কি আছেন শাহিনের ইন্টার পাশ করা পর্যন্ত খরচ বহন করার ?

শাহিনের ব্যক্তিগত মোবাইল 01703275442, বিকাশে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে 01716-856096 (জাহাঙ্গীর হোসন, চন্ডিপুর বাজার)

শাহিন আলমে

পছন্দের আরো পোস্ট