শক্তিশালী নেটওয়ার্কের আওতায় আসছে কুবি ক্যাম্পাস

শক্তিশালী নেটওয়ার্কেও আওতায় আসছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ক্যাম্পাস। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই এই নেটওয়ার্কিং প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এর মাধ্যমেই পুরো ক্যাম্পাস ওয়াইফাই জোন ভিত্তিক নেটওয়ার্কেও আওতায় আসবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর অধীনে বাংলাদেশ রিসার্চ এন্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিরেন) এর তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এর কাজ শুরু হবে।

প্রাথমিক ভাবে ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, লাইব্রেরী, মেডিক্যাল, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া, আবাসিক হল সহ শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন স্থানে ৭০টি ওয়াইফাই জোন স্থাপন করা হবে। এগুলোর অধীনে ওয়াইফাই রাউটারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা সর্বোচ্চ ১গিগাবাইট (জিবি) গতিতে ইন্টারনেট সুবিধা পাবে।

এছাড়াও পরবর্তীতে চাহিদা ও প্রয়োজন অনুসারে ওয়াইফাই জোনবৃদ্ধি করা হবে। প্রকল্পটির ডেপুটিসাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান দুলাল চক্রবর্ত্তী’র সাথে একান্ত সাক্ষাতে এসব তথ্য জানা যায়।

তিনি জানান, ২০১৪-১৫ সেশনে ১বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু জটিলতার কারণেতা সম্ভব হয়নি। তবে আশা করা যাচ্ছে, ইউজিসি’র তৎপরতায় আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই প্রকল্পটির কাজ শুরু করতে পারবো।

Post MIddle

এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ক্যাম্পাস একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্কেও আওতায় আসবে। এই প্রক্রিয়ায় বাহিরের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্লাস ও বিভিন্ন সেমিনারে সরাসরি অংশ গ্রহণ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।এছাড়াও বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদেও প্রধান অনুষঙ্গ ল্যাব গুলোতে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা পাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

তথ্য ও প্রযুক্তিতে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় দিনদিন এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বাও গতিতে। এই শক্তিশালী নেটওয়ার্কেও সুবিধা পেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদালয়ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালায়ের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ‘ক্যাম্পাসের বর্তমান নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা খুবই নাজুক। ল্যাব গুলোতে কাজ করতে গিয়ে আমরা প্রায় সময়ই ইন্টারনেটের যথাযথ সংযোগ পাইনা। আশাকরি শক্তিশালী এই নেটওয়ার্ক আমাদেও ইন্টারনেট সম্পর্কিত বিবিধ সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে।’

প্রসঙ্গত, ইউজিসি’র অধীনে বিডিরেন’র তত্ত্বাবধানে প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশের ১২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শক্তিশালী এই নেটওয়ার্কিং সুবিধা দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় যার মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একটি।

পছন্দের আরো পোস্ট