ফজলুল হক বাংলাদেশ ইলেট্রনিক্স সোসাইটির সভাপতি নির্বাচিত

বাংলাদেশ ইলেট্রনিক্স সোসাইটির ২০১৭-২০১৮ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী এ.কে.এম. ফজলুল হক কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য (ভৌতবিজ্ঞান) ড. দিলীপ কুমার সাহা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। গত ২০ এপ্রিল পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকা এর অডিটরিয়ামে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক নভেম্বর ০১, ২০১৩ তারিখ থেকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিষ্ট্রারের দায়িত্ব পালন করছেন।

ইতোপূর্বে তিনি পরমানু শক্তি কমিশনের ঢাকা কেন্দ্রের পরিচালক ও এক্সিলারেটর ফেসিলিটিজ বিভাগের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পরমানু শক্তি কমিশনে তেত্রিশ বছরের গবেষণার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ ও ইলেক্ট্রনিকস্ বিভাগের ফিলিপস রিসার্চ ফেলো এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পিএইচ ডি, এম ফিল ও মাস্টার্স এর থিসিস নিয়মিত তত্ত্বাবধান করে আসছেন।

Post MIddle

প্রকৌশলী ড. এ কে এম ফজলুল হক ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত পদার্থ ও ইলেক্ট্রনিকস্ এ এমএসসি এবং ২০০২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিদ্যায় (পারমানবিক প্রযুক্তি) পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৮২ সালে তিনি ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারস্ অব বাংলাদেশ থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেন। পেশাগত জীবনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশিক্ষনের পাশাপশি সম্মেলন, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালা আয়োজনের অভিজ্ঞতাও তাঁর রয়েছে প্রচুর। এ পর্যন্ত তাঁর রচিত এবং প্রকাশিত গবেষণা পত্রের সংখ্যা ৫৪।

তিনি প্রকৌশলীদের পেশাজীবি সংগঠন ‘ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারস্ অব বাংলাদেশ’এর ২০১১-২০১২ এবং ২০১৩-২০১৪ এর কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক্স্ সোসাইটির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১০ এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির সহ-সভপাতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সাল থেকে ‘এশিয়ান কমিটি ফর ফিউচার এক্সিলারেটর’ এর সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি ১৯৫৩ সালে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার পাটিরা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

পছন্দের আরো পোস্ট