খড়কী মাছ এর অন্তর্ভুক্তি ও সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

আজ (৪ মে ২০১৭) বৃহস্পতিবার হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহনশীল মৎস্যচাষ নিশ্চিতকরণে বিপন্ন প্রায় দেশীয় প্রজাতি খড়কী মাছ এর অন্তর্ভূক্তি ও সংরক্ষণ বিষয়ক দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। সকাল ১০ টায় ফিসারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়েল আইআরটি’র সেমিনার কক্ষে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। এ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম।

ফিসারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং প্রকল্প পরিচালক ড. ইমরান পারভেজ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন আইআরটি এর পরিচালক প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার এবং ফিসারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এ. কে. এম রুহুল আমীন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার, ফিসারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. জান্নাতুল ফেরদৌসী এবং মৎস্যচাষী ও হ্যাচারি মালিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মো. রাশেদ আলম।

Post MIddle

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বলেন, মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ চতুর্থ। এটি আনন্দের বিষয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেক দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সুস্বাদু খড়কী মাছসহ অনেক প্রজাতি আজ বিলুপ্ত প্রায়। মৎস্য বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলে আজ বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে সফলতা পেয়েছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় মাছ সংরক্ষন, বংশ বৃদ্ধি এবং পোনা উৎপাদনে মৎস্য বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষনের বিকল্প নেই। জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন-এ তিনটি বিষয়ের উপর সকলকে গুরুত্ব দিতে। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান প্রশিক্ষনার্থীরা নিজের এবং দেশের কাজে লাগাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ২০ জন মৎস্যচাষী ও হ্যাচারি মালিক অংশ গ্রহন করছেন।

পছন্দের আরো পোস্ট