স্বামীর চাকুরী আর বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ পেল সুবর্না

গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বাসে চাপা পড়ে গুরুতর অাহত হওয়া সুবর্ণা মজুমদারকে দীর্ঘ দুই মাস দশ দিন ঢাকার এপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নেবার পর অাজ (শনিবার) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনা হয়।

ক্যাম্পাসে এসে সে তার নিজ বিভাগের সহপাঠী, শিক্ষক ও বড় ভাই-বোনদের সাথে দেখা করে। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি মোঃ আনিসুর রহমান। অপরদিকে, সুবর্ণা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডঃ খোন্দকার নাসিরউদ্দিনকে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করায় তার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডঃ খোন্দকার নাসিরউদ্দিন বলেন, সুবর্নাকে বিনা বেতনে পড়াশুনার সুযোগ দেওয়া হবে, তাকে স্কলারশিপ প্রদান করা হবে ও তার স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরীর ব্যাবস্থা করা হবে।’

Post MIddle

সবার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সুবর্নাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স যোগে বাগেরহাটের চিতলমারীতে অবস্থিত তার নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, সুবর্ণা মজুমদার (১৯) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ফেব্রুয়ারীর ১৯ তারিখে সুবর্ণা বাগেরহাটের চিতলমারীর গ্রামের বাড়ি থেকে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছিলো। এমতাবস্থায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস বাইরে বের হওয়ার সময় তাকে চাপা দেয়।

এতে ওই শিক্ষার্থীর শরীরের ওপর দিয়ে বাস চলে গেলে তার পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থান গুরুতর জখম হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আহত সুবর্ণাকে উদ্ধার করে প্রথমে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার শারীরিক অবস্থা অবনতির পানে মোড় নিতে থাকলে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়ক অবরোধ করে প্রচণ্ড বিক্ষোভে ফেঁটে পড়ে এবং একনাগাড়ে টানা দু’দিন প্রতিবাদমুখর  অান্দোলনে অংশগ্রহণ করে।

পছন্দের আরো পোস্ট