পত্রিকা দেরীতে আসে কেন ?

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) সমগ্র ক্যাম্পাস জুড়ে দৈনিক পত্রিকা আসতে বিলম্ব এবং  বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সহ শিক্ষক এবং কর্মকর্তারাও একই অভিযোগ করেছেন ।

আজ মঙ্গলবার(২৫ এপ্রিল)  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম  হলের কয়েকজন ছাত্র জানান, হলের রিডিং রুমে প্রতিদিন দৈনিক পত্রিকা আসতে অনেক দেরী হয় । পত্রিকা সাধারণত সবাই সকালেই পড়ে কিন্ত হলে পত্রিকা আসে দুপুর ১ টার পরে । তাছাড়া ১ টায় পত্রিকা আসলেও দেখা যায় যে শহরের সব স্থানে পত্রিকা বিলি করার পর অবশিষ্ট যেগুলো রয়ে যায় সেগুলাই হলে দেয়া হয়  এবং কখনো কখনো দেখা যায় পুরাতন এবং ভেজা ,ছেড়া পত্রিকা দিয়ে যায় । জনপ্রিয়  জাতীয় পত্রিকা সচরাচর দেয়া হয়না বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন । তাছাড়া অনাবাসিক কয়েকজন শিক্ষার্থী  অভিযোগ করেন,  বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতেও পত্রিকা দুপুর ১ টার পরে দেয়া হয়। যেখানে অনেক  শিক্ষার্থীরা এর আগেই ক্লাস শেষ করে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান ।

এ বিষয়ে পত্রিকার হকার নুরন্নবী এবং আব্দুস সালাম হল অফিস কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে তাঁরা জানান, মাননীয় উপাচার্য এবং শিক্ষকবৃন্দরা ও নাকি পত্রিকা পড়েন দুপুর ২ টার পরে । তাঁদের কোন মাথাব্যথা নেই , সেজন্য আমাদের করার কিছু নেই বলেও জানান ।

Post MIddle

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা  অভিযোগটি স্বীকার করে বলেন, ঘটনা সত্যি অফিসেও সে অনেক দেরীতে পত্রিকা দেয় । একাধিক বার তাঁকে বলা হলেও ফলাফল শূন্য ।

আবাসিক একাধিক শিক্ষকবৃন্দও অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিক্ষক ডর্মেটরিতে প্রতিদিন পত্রিকা দুপুর ১ টা থেকে দেড়টায় দেওয়া হয় । এ ব্যাপারে আমরা হকার নুরন্নবীকে একাধিকবার বললেও কাজ হয়নি ।শহরে পত্রিকা  দিয়ে এসে ক্যাম্পাসে পত্রিকা দিতে দেরী হয়ে যায় বলে সে আমাদেরকে  জানায় বলেও তাঁরা জানান ।

আবাসিক মেয়েরাও একই অভিযোগ করে বলেন, হলে পত্রিকা আসে দুপুরে এবং পত্রিকা বক্সে টাঙানো হয় বিকেল ৪ টায় । সেজন্য তাঁরা প্রতিদিন নিয়মিত পত্রিকা পড়তে পারি না ।

আবাসিক হলের  ছাত্ররা আরো জানান, এ বিষয় নিয়ে নুরন্নবীর সাথে কয়েকবার বাগবিতান্ড হয় এবং তাঁর চালচলন দেখলে মনে হয় সেই ভার্সিটির বড় কিছু । কিসের কারণে সে একজন হকার হয়েও এত অনিয়ম করে সেটাই এখন সবার প্রশ্ন এবং বিষয়টি দ্রুত সমাধান করার জন্য শিক্ষার্থীরা  মাননীয় উপাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ।

পছন্দের আরো পোস্ট