গরমে যা খাবেন

সময়ের আর মাসের সাথে যেন গরম তার পাল্লা দিন দিন ভারী করে চলছে। কিন্তু তাতে থেমে নেই নিত্য দিনের কাজ আর যাতায়াত। কাজের জন্য হোক কিংবা বাড়িতে থাকা সময়েই হোক, গরম আপনার পিছু নেবেই। এই গরমে কেবল ঘাম, এ্যালার্জিজনিত সমস্যাই হয় না সেইসঙ্গে খাবারের রুচিও যেন হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। আর পরিমাণমতো খাবার না খেলে আমাদের শরীরে দেখা দেয় নানা সমস্যা। আর এই গরমে এসব সমস্যার কারণ হয়ে থাকে এই সময়ের মুখের অরুচি। তাই খাবারের বেলায় সচেতন হওয়া জরুরি। আর খাদ্য তালিকায় আনতে হবে কিছুটা পরিবর্তন।

পানীয় জাতীয় খাবার
গরমে সবার আগে খাদ্য তালিকায় থাকা দরকার পানি। যদিও অনেকেই ভাবেন যে পানি আবার কোনো খাবার নাকি! পানি আপনার শরীরের মহা মূল্যবান কাজগুলো করে থাকে। আপনার হজমের ক্রিয়া থেকে শুরু করে প্রশান্তি পর্যন্ত সব কাজের দ্বায়িত্ব এই পানির কাছে। তাই খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করুন আর খাওয়ার আধা ঘণ্টা পরে। এটি আপনার খাবার হজমে সাহায্য করবে। আর এই গরমে বাইরে থেকে এলে সবার আগে পানি তার সাথে খাবার স্যালাইন কিংবা শরবত খেতে পারেন। এই সময়ে শরীরের জন্য লেবুর শরবত সবচেয়ে ভালো।

সকালের নাস্তা
এই গরমে সকালের নাস্তায় চা কিংবা কফি অথবা ব্রেড, বাটারের পরিবর্তে কলা-চিড়া, দই-চিড়া, আম চিড়া, ছোলা ভেজানো আর সাথে গ্রীষ্মকালীন ফল যেমন আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা অল্প পরিমানে খেতে পারেন। তার সাথে ঠাণ্ডা দুধ খেতে পারেন। যাদের গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য ঠান্ডা দুধ উত্তম। এই ক্ষেত্রে গরম দুধ এড়িয়ে যাওয়াই আপনার জন্য ভালো।

Post MIddle

দুপুরের খাবার
দুপুরের সময় কিছুটা ভারী খাবারের প্রয়োজন হয়। অনেকেই এই সময় ফাস্টফুড খেয়ে দিন কাটিয়ে ফেলেন। এটি শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই দুপুরের এই সময়ে বাইরের ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন। এই গরমে বাড়ির তৈরি খাবার সঙ্গে রাখুন। শাকসবজি বেশি করে খান। পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন ছোট মাছ আর মুরগির মাংস। তবে খাবারের সাথে যেন সালাদ থাকে তার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন।

নাস্তায়
নাস্তায় বাইরের ভাজাপোড়া না খেয়ে খেতে পারেন তরমুজ, শশা, বাঙ্গি, আনারস, কলা আর দুধের তৈরি ঠান্ডা পায়েস, সেমাই আর মিষ্টি। এই সমস্ত খাবার আপনার শরীরের মেটাপলিজম ক্রিয়া সক্রিয় রাখে। এর পাশাপাশি খেতে পারেন কাঁচা আমের শরবত, আনারসের শরবত আর তরমুজ আর লেবুর শরবত।

রাতের খাবার
রাতের খাবারে খেতে পারেন ভাত, রুটি, মাংস, মাছ, ডাল, সবজি ইত্যাদি। তবে সাথে দৈনিক আট থেকে নয় গ্লাস পানি পান করুন।এই গরমে পোলাও, বিরিয়ানি, মোঘলাই জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন। সঙ্গে সব সময় পানি রাখুন। আর রাতে ঘুমানোর আগে ঠান্ডা এক গ্লাস দুধ খেয়ে নিতে পারেন কিংবা শরবত। এটি আপনার রাতে ভালো ঘুম হতে সাহায্য করবে।

পছন্দের আরো পোস্ট