বেরোবি প্রক্টর অপসারণের দাবি শিক্ষার্থীদের

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী দীপু রায়কে মিথ্যা অভিযোগে অবৈধভাবে আটকে রাখায় তার বাবার করুণ মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের অপসারণ ও শাস্তির দাবি তোলেন আন্দোলনকারীরা।সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা বিভাগ ও সারাধণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ আন্দোলন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর মীর তামান্না সিদ্দীকার অপসারণ ও বিচারের দাবি জানিয়ে এ সমাবেশ শিক্ষার্থীরা বলেন,‘ দীপুকে বিনা বিচারে আটকে রেখে একাধিক মামলার হুমকি দেওয়ো হয়েছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে ভাঙ্গচুরের মামলায় তাকে ফাঁসানো হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন প্রক্টর। এতে তারা (দীপুর) বাবার কুরণ মৃত্যু হয়েছে।’

তারা আরো বলেন,‘ এখানে প্রক্টর স্বেচ্ছাচারিতার প্রমাণ দিয়েছেন। তাই ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত তাকে অপসারণ ও বিচার করতে হবে।’

Post MIddle

এ আন্দোলনের শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও রেজিস্টার বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন। এতে তারা উল্লেখ করেন,গত ১৪ ই এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) শুক্রবারে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং প্রবেশ গেট থেকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়িতে ৫ ঘন্টা আটকে রাখা হয় এবং তাকে ভাংচুরসহ অন্যান্য মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়া হয়।বিষয়টি সম্পর্কে মতামত জানতে প্রক্টরের মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের দেওয়া স্মারক লিপির বিষয়টি নিশ্চত করে রেজিস্ট্রার ইব্রাহীম কবির জানান,‘ এ বিষযে আমি কোন মন্তব্য করতে পারবো না।’শিক্ষার্থীদের স্মারক লিপি সম্পর্কে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে এম নূর উন নবী বলেন, আমি অফিসের বাইরে। এখনো স্মারক লিপি পাইনি। তবে অফিসে গিয়ে দেখে নিবো।’

জানা যায়, কয়েকদিন আগে প্রক্টরকে দীপু ও সহপাঠিরা টিজ করেন। আর এই বিষয়েই ঘটনার দিন তাকে ক্যাম্পাসের পুলিশ ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়। সেই দিনেই তার বাবার মৃত্যু হয়েছিল। বাবার মৃত্যুতে প্রক্টরের কোন দোষ নাই বলে জানিয়েছেন দীপু।

পছন্দের আরো পোস্ট