দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে ই-লার্নিং পোর্টাল এডুটিউববিডি

গত বছর ১৮ থেকে ২০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হওয়া তিনদিনব্যাপী এম এডুকেশন অ্যালায়েন্স সম্মেলন ২০১৬–এ অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশের ই-লার্নিং ওয়েব পোর্টাল এডুটিউববিডি। সারাবিশ্ব থেকে জমা পড়া অসংখ্য প্রস্তাবের শীর্ষ ৩০ এর মধ্যে জায়গা করে নেয় এই ই–লার্নিং পোর্টাল। বাংলাদেশে এর ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন এডুটিউবডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শারমিন মাহজাবিন।

এডুটিউবের শুরুর গল্প 

সম্প্রতি ভিডিও ভাইরাল হওয়া শুরু হয়েছে। সবাই ইউটিউব থেকে সবকিছু শেখা শুরু করেছে। ইউটিউবে এডুকেশনাল ভিডিও পাওয়া এখন খুব সাধারণ বিষয়। এই সব কন্টেন্টের বেশিরভাগই ছিল ইংরেজিতে। আমাদের বাংলা ভাষার এডুকেশনাল ভিডিওগুলোও সবার কাছে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছে। আমার প্রথমেই যেটা মনে হলো যে, আমাদের দেশে এখনও সনাতন নিয়মে পড়াশোনা চলছে, এখনও সিলেবাস অনেক বিশাল আর জটিল।

আমি যদি আমার ছাত্রজীবনের কথা, আমার এসএসসি, এইচএসসির কথা মনে করি তাহলে আমাদেরকে অসংখ্য ক্লাস, কোচিং, মডেল টেস্ট, প্রাইভেট টিউটর- এর কাছে যেতে হয়েছে। সবসময় সাজেশন্সের পেছনে দৌড়াতে হয়েছে। সামাজিক বিজ্ঞান, বাংলা, ধর্মের মতো  বিষয়ে আমরা কোচিং করতে প্রাইভেট টিউটরের কাছে যেতাম। শিক্ষার্থীরা এখনও যায়, কিন্তু সেখানে এমসিকিউ বেসড কিছু মডেল প্রশ্ন সমাধান করতে দেওয়া হয়। কিছু নোট দেয় যা শিক্ষার্থীরা কপি করে। আমাদের দেশে এখনও এই বাজে প্র্যাকটিস রয়েছে যে কোনো শিক্ষার্থী নিজের নোট অন্যকে দিতে চায় না কারণ তারা ভাবে নোট পেলে অন্যরা তার চেয়ে ভালো রেজাল্ট করে ফেলবে। কিন্তু যখন কোনো ক্লাস শেষ হয়ে যায়, তখন এই নোটগুলো দিয়ে কী হয়? কোনো ছোট ভাইবোন থাকলে তাকে দেওয়া হয় অথবা ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। অথচ আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসংখ্য শিক্ষার্থী আছে যারা এইসব নোট, সাজেশন্স, কোচিং পাওয়ার সামর্থ্য রাখে না। ফলে গাইড বই সেখানে রাজত্ব করছে।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের এক জরিপ অনুযায়ী গ্রামের একটা ছেলে বা মেয়ের  স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ার মূল কারণই হচ্ছে গাইড বই কেনার সামর্থ্য নেই। তাই স্কুলের পড়া থেকে তারা ঝরে পড়ে। টেক্সবই ফ্রি কিন্তু এখনও অনেক অভিভাবকের সন্তানদের গাইড বই কেনে দেবার মতো সাধ্য নাই। তাই শিক্ষার্থীরা অবশেষে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়। সুতরাং, কোচিং এর এসব উপকরণ বড় বড় শহরগুলোতে সমৃদ্ধশালী অঞ্চলে ব্যাপক শ্রম ও প্রচেষ্টায় তৈরি হয় এবং ক্লাশ সমাপ্ত হলে সেগুলো হারিয়ে যায়। যদি এডুটিউবে তাদের একটি প্রোফাইল তৈরি করে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উদ্যোগ নেয় যে তাদের পড়াশোনার উপকরণগুলো একে অন্যের সাথে শেয়ার করবে তাহলে অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত এলাকার ছেলেমেয়েরা এই সুবিধা ভোগ করে তাদের আগামীর চলার পথটাকে একটু প্রশস্ত করে তুলতে পারতো। আমরা তাদের কথা চিন্তা করেই এডুটিউবের যাত্রা শুরু করেছি।

এডুটিউববিডিযাত্রা শুরু 

এডুটিউব বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম আইসিটি প্রতিষ্ঠান এথিক্স এডভান্সড টেকনোলজি লিমিটেডের (ইএটিএল) ই-শিক্ষার একটি পদক্ষেপ। আমি প্রথম এই উদ্যোগের কথা চিন্তা করি এবং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান এই পদক্ষেপটি অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবার আস্থা প্রকাশ করেন। তিনি মার্কেটের টপ মেধাবীদের একত্র করেছেন এই পোর্টালকে উন্নত করার কাজে এবং ২৯ মার্চ ২০১৬ ঢাকার সোনারগাঁ হোটেলে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন যেখানে প্রধান অতিথির পদ অলংকরণ করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও বিশেষ অতিথির পদ অলংকরণ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। যদিও এই পোর্টালটি এখনও ডেভেলপিং পেজে অবস্থান করছে এবং অনেক সংস্কার এখনও বাকি আছে। খুব শীঘ্রই লাইভ ভিডিও ক্লাশ নিয়ে নতুনত্ব যোগ হতে যাচ্ছে এই ই-লার্নিং পোর্টালে।

কাজের ক্ষেত্র 

এই পোর্টালের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য হলো, এটি সরাসরি লাইভ ভিডিও ক্লাশ নিতে পারে, লাইভ ক্লাশরুম সেকশন থেকে যা আমরা ফেসবুক, ইউটিউবসহ সকল সোশ্যাল প্লাটফর্মে এটি উপভোগ করতে পারি। যে সকল সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করে তাদের বৃহৎ অংশকে আমরা এই সেবা পৌঁছে দিতে চাই। মফস্বল পর্যায়ে ভাল শিক্ষকের ভীষণ সংকট। তাদের পর্যাপ্ত ট্রেনিংয়েরও অভাব রয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে লাইভ ভিডিও ক্লাশ নিতে আমরা স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের  সাথে যোগাযোগ করেছি।

এতে শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, শিক্ষকেরাও টেক্সটবুকের বিভিন্ন লেকচার দেখতে পারবে ও শিখতে পারবে। ইতিমধ্যেই এইচএসসি ইংরেজি ক্লাশ নিচ্ছেন বিএএফ শাহীন কলেজের লেকচারার জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির, এসএসসি কমার্স নিচ্ছেন শহীদ বীর উত্তম লেঃ আনোয়ার গার্লস কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মিসেস নার্গিস সুলতানা, একই কলেজের শিক্ষক জনাব তৌহিদ স্যার তিনি পিএসসি থেকে এসএসসি পর্যন্ত অঙ্কের ক্লাশ নিচ্ছেন, ফাহাদ স্যার এসএসসি বিজ্ঞান ক্লাশের জন্য খুবই জনপ্রিয়। প্রচুর সাড়া পেয়ে যাচ্ছে এই পোর্টালটি। কারণ এটা কোনো সংক্ষিপ্ত ভিডিও ক্লিপ নয় বরং পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সিলেবাসের উপর অধ্যায়ভিত্তিক আলোচনা। অনেক লাইক, কমেন্ট, মেসেজ আসে যেগুলো বিভিন্ন ছোট ছোট শহরের শিক্ষকেরা পাঠান। বলেন যে তারা নিয়মিত ভিডিও ক্লাসগুলো অনুসরণ করেন এবং তাদের শিক্ষার্থীদেরও শিখতে উৎসাহিত করেন।

ফাহাদ স্যারকে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত অনুরোধ করেন তার লেকচারের জন্য। এটা ভাবতে ভালো লাগে যখন গ্রামের কোনো শিক্ষার্থী বলে যে, সে এখন এসএসসি বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী কিন্তু তার কোনো গৃহশিক্ষক নেই। সে ফাহাদ স্যারের লেকচার পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান ও জীব বিজ্ঞান ডাউনলোড করে পড়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তৌহিদ স্যারের ম্যাথ, উচ্চতর গণিত  শিখে পরীক্ষা দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ম্যাথ লেকচার এবং প্রশ্ন সমাধানের  অসংখ্য অনুরোধ আসছে আমাদের কাছে, কারণ তারা এই রকম লেকচার এতো সহজেই বুঝে নিচ্ছে যে এর আগে কখনই শহরের বাইরের শিক্ষার্থীদের এমন সুযোগ আসেনি। পরীক্ষায় ভালো করার কোনো উন্নতমানের কনটেন্টও তারা পায়নি। পাঁচ হাজারেরও বেশি রেজিস্ট্রেশন করা একাউন্ট রয়েছে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের যারা নিয়মিত এই পর্যন্ত ১০ হাজারের মতো বিভিন্ন প্রশ্ন, নোট, সাজেশন, ভিন্নধর্মী বই, পিডিএফ ফরমেটে প্রেজেন্টেশন, ম্যাথ সমস্যার সমাধানসহ নানারকম ছবিও এই পোর্টালে আপলোড করে চলেছেন।

অর্থনৈতিক দিক 

Post MIddle

এই ধরনের উদ্যেগে বিশেষ করে মার্কেটিংয়ের ব্যয় এবং উন্নতমানের লেকচারসহ নোট সাজেশন সরবরাহ করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটা বিষয়। আমাদের নতুন নতুন ভিডিও তৈরি করা লক্ষ্যের কেন্দ্রবিন্দু নয় বরং প্রাথমিক সচেতনতা সৃষ্টি করাই লক্ষ্য। সমাজের বড় একটা অংশ যারা সুবিধাবঞ্চিত যদি তাদেরকে সাহায্য করার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসে তাহলে সমস্যার সমাধান করা খুবই সহজ। এক্ষেত্রে ভাল শিক্ষকেরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে অনেক ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবকেরাই উপকৃত হবেন।

আমাদের উদ্দেশ্য এই উদ্যোগকে শিক্ষাখাতের জন্য বড় মার্কেটে রুপান্তরিত করা। একজন শিক্ষক যিনি প্রতিদিন পাঁচটি ব্যাচে অন্তত কুড়িজন করে শিক্ষার্থী পড়িয়ে যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন, তাকে আমরা বোঝাতে চাই যে, তার মূল্যবান নোট, সাজেশন এখানে বিক্রয়যোগ্য করে প্রদান করে সেই একই পরিমাণ অর্থও তিনি উপার্জন করতে পারবেন ১০,০০০ ডাউনলোড এর মাধ্যমে। সামনে টিউটর সেবা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের জন্য আয়ের সম্ভাবনা আসছে।

 সাফল্য

উদ্বোধনের ছয় মাসের মধ্যে আমরা সম্পৃক্ত হতে পেরেছি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সরাসরি তত্ত্বাবধানে TQI II (টিচিং কোয়ালিটি ইম্প্রভমেন্ট II) প্রজেক্টে যেখানে নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষকদের পাঠদানের জন্য পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের এনিমেশন, সিমুলেশন, ইন্টার একটিভ টেস্ট, ডায়াগ্রাম, রঙিন ছবি সম্বলিত ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করেছি। ছাত্রছাত্রীদের জন্যও আমরা একই শ্রেণীর ছয়টি বিষয়কে ডিজিটাল করেছি, যা আমাদের অভিজ্ঞতাকে শাণিত করেছে আর সাথে এডুটিউবকেও সমৃদ্ধ করেছে।

সর্বোপরি এনসিটিবি –এর নিবিড় তত্ত্বাবধানে এটি সম্ভবপর হয়েছে যার কারণে আজ সমগ্র বাংলাদেশে ডিজিটাল ক্লাশরুমে এগুলো পড়ানো হচ্ছে জাতীয় শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত এম-এডুকেশন এলায়েন্স সিম্পোজিয়াম যেখানে ইউনাইটেড ইন্সটিটিউট অব পিস সারা বিশ্ব থেকে ২০০০ প্রস্তাব এর মধ্য থেকে শীর্ষ ৩০ এ জায়গা করে নেয় edutubebd.com এবং বাংলাদেশ থেকে উপস্থাপনের জন্য একমাত্র সেরা উদ্যোগে নির্বাচিত হয়।

এটার প্রতিক্রিয়া এমনিই ছিল যে, জাম্বিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ edutubebd.com এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং তাদের দেশে একই রকম উদ্যোগ নিবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। এই বছর মে মাসে edutubebd.com সিলিকন ভ্যালী আয়োজিত একটি বড় সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।

এডুটিউববিডিচ্যালেঞ্জ

এই ধরনের উদ্যোগ বেশ ব্যয় সাপেক্ষ। টেকনোলজি ইনভেনশন দিয়ে পোর্টালটিকে সেলফ-সাস্টেইন করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ, যেখানে মার্কেটিং ব্যয় ও রয়েছে। কারণ মানুষকে জানাতে হবে ব্যান্ডউইথের মূল্য এখনও পর্যন্ত বড় প্রতিবন্ধকতা। যেখানে জাতির শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিচর্যায় জরুরি কন্টেন্টগুলোতে ডাটা চার্জ সর্বনিম্ন হওয়া উচিত, আর বিনোদনমূলক ইন্টারনেট সার্ভিসে বেশি মূল্য পরিশোধ করা উচিত সেখানে আমাদের দেশের সকল মোবাইল অপারেটররাই বিনামূল্যে ফেসবুকিং সুবিধা দিয়ে থাকে। তাদের অতিরিক্ত মুনাফাভিত্তিক কার্যক্রমই আমাদের এই দেশিয় শিক্ষাভিত্তিক ওয়েবসাইটের বিপণন ও ব্র্যান্ডিংকে করেছে ব্যয়বহুল। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সেই ক্ষেত্রে ভালো করছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বড় বড় কোম্পানির বিজ্ঞাপন বেশি প্রচারিত হয় এবং আমাদের সরকারের উচিত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রচার প্রচারণায় যাতে চ্যানেলগুলো আরও সাশ্রয়ী ও মনযোগী হয় সেটিকে উৎসাহিত করা।

আমরা কোনো পণ্য বিক্রয়ের প্রতিযোগিতায় নামছি না, তবে কী করে আমরা উৎপাদন ও বিক্রি মতো টিভিসি ব্যয় বহন করব। সুতরাং যেখানে অধিক মূল্যের ডাটা চার্জ প্রদান করতে হয় সেখানে আধা ঘন্টা ভিডিও ক্লাশ দেখা দীর্ঘদিন কেউ চালিয়ে যেতে পারবে না। আর তাই এই রকম ফলপ্রসূ আর যুগোপযোগী একটি উদ্যোগকে কীভাবে আরও কম খরচে দেশের সকলের কাছে পৌঁছে দেয়া যায় তা দেখতে হবে।

স্বপ্ন

কিছু ভালো মানের শিক্ষকদের উৎসাহ আর আগ্রহ এই সকল বঞ্চিত বা অসহায় শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু ভালো পদক্ষেপ নিতে পারেন যদি তারা চান। যেহেতু তারা মার্কেট বিশেষজ্ঞ, তাদের লেকচার হাজারো শিক্ষার্থীদের জন্য, এমনকি শিক্ষকের উন্নত দক্ষতার জন্যও অনেক সহযোগিতার হতে পারে। আর এই কারণেই আমাদের স্বপ্ন edutubebd.com একদিন সকলকে একই প্লাটফর্মে আনতে পারবে। একসময় ছাত্র–শিক্ষক–অভিভাবক শিক্ষা সংক্রান্ত আর কোনো কিছু গুগলে না খুঁজে এডুটিউবের খুঁজবে।

সুত্র : প্রিয়.কম

পছন্দের আরো পোস্ট