চাষীর স্বপ্ন

ডিঙ্গাপোতার দক্ষিণ পাড়ে থাকে একখান ভাঙ্গা ঘরে
সুখের দেখা নাই…
তবুও তার সুখের সীমা নাই
সে যে মহাসুখি ভাই!
কার্তিক-অগ্রহায়ণে বীজবপনে স্বপ্নরা দেয় চারা
নতুন স্বপ্ন ফসলের কুশল-আসল ফসলেই বাকিটা বছর করবে সারা।
ধানের চারা বাড়ার সঙ্গে বাড়ে স্বপ্নের ভিড়,
ফসলের সাথেই গড়ে ওঠে যে তার মিতালি গভীর।
পুত্র-কন্যা পরিজন ফসলও সন্তানের মতন।
নাইকো তার সামান্য ত্রুটি, দিবারাত্রি খাটা-খাঁটুনীতে করে সে যতন;
ঠিক সন্তানেরই মতন।
পৌষে-মাঘে লাঙল কাঁধে মাঠে
কুয়াশা-বৃষ্টিতে ভ্রুক্ষেপ যে তার নাই
সে যে চাষীর ছেলে ভাই!
বেলা দ্বি-প্রহরে করে গড়াগড়ি
ভোজন তার সামান্য মুড়ি,
অপরাহ্নে সামান্য হিদল-ভর্তা আর ভাত হলেই খুশির সীমা নাই
সে যে চাষীর ছেলে ভাই!
চৈত্র-বৈশাখ মাসে থাকে বড় হা-হুতাশে!
সংসারের সুসার, পুত্র-কন্যার বিয়ে শাদি
সবকিছুতে জড়ায়ে আছে ঐ সন্তানতূল্য ফসলাদি।
যদি চটেন ওয়ানগালা, পাঠাবেন অশুভবার্তা ঝরাবে শিলাবৃষ্টি, সেই সাথে ভেস্তে যাবে সাজানো সব স্বপ্নের সৃষ্টি।
ফলে ঘটলে বিপর্যয়, সে যে নিরুপায়।
তার বাড়বে ঋণের বোঝা, হতে পারবে না সোজা
যাবে রসাতলে তার ঘরের রুয়াকাটি।
হায় চৈত্র! হায় চৈত্র!! আকাশে ডাকিলে মেঘ চমকে যায় তার পিলে
সে যে কৃষকের ছেলে!
আজি চৈত্রেই বাদলের বরিষণ, আসছে পাহাইড়্যা ঢল সময় যে আর নাই
চলি, উরা-কুদাল নিয়া বাঁধে…।।
========================
আসুন বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াই।
লেখক: সত্য সরকার। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ (৪র্থ বর্ষ)।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

পছন্দের আরো পোস্ট