এনসিটিবি’র ৬ কর্মকর্তার শাস্তিস্বরুপ বদলি

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবইয়ে ভুলের জন্য দায়ী জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ছয় কর্মকর্তাকে শাস্তিস্বরুপ বদলি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বুধবার (০৫ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে তাদের ৪ কর্মকর্তার বদলির কথা জানানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) এনসিটিব’র দুই কর্মকর্তাকে বদলি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তারা ৬ এপ্রিলের মধ্যে অবমুক্ত হবেন, অন্যথায় একই তারিখের অপরাহ্নে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন।

এনসিটিবি’র সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম উইং) ড. মো. আব্দুল মান্নানকে ঝিনাইদহের সরকারি কে. সি. কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, এনসিটিবি সম্পাদক গৌরাঙ্গ লাল সরকারকে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, এনসিটিবি বিশেষজ্ঞ মো. মোসলে উদ্দিন সরকারকে পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক এবং এনসিটিবি বিশেষজ্ঞ মো. হান্নান মিঞাকে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের বাংলার সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

এছাড়া এনসিটিবি’র সচিব ইমরুল হাসানকে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নিজামুল করিমকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। এনসিটিবি’র গবেষণা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানাকে রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে বদলি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক।

Post MIddle

বিনামূল্যে বিতরণীয় প্রথম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘ওড়না বিতর্ক’, ‘ছাগল গাছে উঠে আম খাচ্ছে’,- এমন বর্ণনা সমালোচনার তৈরি করেছিল।
তৃতীয় শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই ‘আমার বই’তে কুসুমকুমারী দাশের কবিতা ‘আদর্শ ছেলে’র মূল লাইন ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’র শব্দ উল্টে দিয়ে সেখানে শব্দ বদলে দেওয়া হয়েছিল।

মর্মবাণী প্রকাশ করতে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণির হিন্দু ধর্মশিক্ষা বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ছাপানো হয়েছে ‘DO NOT HEART ANYBODY’, যাতে বোঝাতে চাওয়া হয়েছিলো ‘কাউকে আঘাত দিও না’।

এ বিষয়ে গত ১০ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এক প্রেস ব্রিফিং-এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস ব্যাক্ত করেছিলেন।

তারই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। কয়েক দফা সময় বৃদ্ধির পর দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।

এই তদন্ত কমিটি বইয়ের ভুলের জন্য সাত কর্মকর্তাকে দায়ী করে শাস্তির সুপারিশ করেছিল। বইয়ের ভুলের জন্য দায়ী এনসিটিবি’র প্রধান সম্পাদক প্রীতিশ কুমার সরকার ও বিশেষজ্ঞ লানা হুমায়রা খানকে আগেই ওএসডি করা হয়েছিল।

পছন্দের আরো পোস্ট