চুয়েটে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন সহকারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন, চুয়েট ক্যাম্পাসে শহীদদের কবর জেয়ারত, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, শিশু-কিশোরদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি।

Post MIddle

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। চুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো: হযরত আলী, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আশুতোষ সাহা, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুল আলম, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো: মোস্তফা কামাল, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।

চুয়েটের কেন্দ্রিয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে অধ্যাপক ড. মো: আব্দুর রশীদ, প্রভোস্টগণের পক্ষে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুল আরেফিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: আব্দুর রহমান ভূইয়া, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী অচিন্ত কুমার চক্রবর্ত্তী, কর্মচারী সমিতির সভাপতি জনাব মো: জামাল উদ্দীন, ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে মুনতাসির সারোয়ার ও মনীষী রায় প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ-ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. জি.এম.সাদিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মানবিক বিভাগের প্রভাষক নাহিদা সুলতানা ও সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এ প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের সব শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যাঁরা নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন, তাঁদের সবাইকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ এগিয়ে যাক এবং বিশ্বের দরবারে আরো মাথা উঁচু করে দাঁড়াক-এটাই আজ সবার প্রত্যাশা। বিশেষ করে, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে আতœপ্রকাশের যে অগ্রযাত্রা চলছে তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা তথা উন্নত বাংলাদেশ গড়ার চলমান উদ্যোগে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে আগামী বাংলাদেশের ভবিষ্যত। তাদেরকে টেকসই উন্নয়ত গড়তে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত হতে হবে। সকলকে দেশপ্রেমের মহান চেতনা ধারণ করে দেশসেবায় নিয়োজিত থাকতে হবে।

পছন্দের আরো পোস্ট