প্রথম সমাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে জাককানইবি

 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) আগামী ১৯ এপ্রিল হতে যাওয়া প্রথম সমাবর্তনকে ঘিরে নতুন কৌতুহলের আমেজ বিরাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং পুরো ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন, রাস্তা, স্থাপত্যসহ প্রতিটি স্থানেই চলছে পরিস্কার-পরিচ্ছনতা ও সংস্কারের কাজ। পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বর্ধন, সংস্কার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সকল কাজ বিভিন্ন উপ-কমিটিতে বণ্টন করে দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুততার সাথে এসব কাজ এগুচ্ছে। সমাবর্তনে গ্রাজুয়েটরা নতুনরূপে তাদের পুরাতন প্রাঙ্গণকে দেখতে পারবে।

বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, সমাবর্তনের অনুষ্ঠানস্থল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিয় খেলার মাঠে চলছে সংস্কারের কাজ। মাঠের ভেতরের মাটিকে সমতল করা হচ্ছে ড্রেজার মেশিন দিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাস্তাতে নতুনভাবে ইট বিছানো হচ্ছে।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ভবনের ভেতরে ও বাইরে সংস্কারের কাজ চলমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার, কেন্দ্রিয় ক্যাফেটেরিয়া, গাছে রঙ করা, শিক্ষার্থীদের বসার জন্য ছাতাগুলিসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে শুরু হয়েছে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। এতে জাককানইবি পাচ্ছে এক নতুন রূপ।

Post MIddle

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচ থেকে পঞ্চম ব্যাচ পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর অর্জনকারীরা অংশগ্রণের সুযোগ পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে সমাবর্তনে গ্রাজুয়েটদের অংশগ্রহণের নিবন্ধন কার্যক্রম।

এদিকে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় ত্রুটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।

এ সম্পর্কে রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর বাংলা জানান, “নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সাময়িক ত্রুটি হয়েছিল পরে টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে খুব দ্রুত সমাধান করা হয়েছে”।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রথম সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোঃ আবদুল হামিদ। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিখ্যাত নজরুল গবেষক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।

প্রথম সমাবর্তনে অংশগ্রহণের অনুভূতি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের প্রথম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী ফাহাদুজ্জামান মো. শিবলী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের প্রত্যাশার পরিপূর্ণতা পেতে যাচ্ছে এই সমাবর্তনের মাধ্যমে”। সাবেক শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্ত রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে অতি দ্রুত যেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠন করা হয় সে বিষয়ে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

পছন্দের আরো পোস্ট