স্টামফোর্ডে “মার্কেটিং ডে”

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে ব্যাবসায় প্রশাসন বিভাগের ৫৪ ব্যাচের উদ্যোগে হয়ে গেল মার্কেটিং ডে। আজ শনিবার দিনব্যাপী এআয়োজনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববদ্যালয়ের বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের ডীন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক প্রফেসর ড: জামাল উদ্দীন আহমেদ।তিনি বাস্তব জীবন ও কর্মজীবনের উপর গুরুত্ববারোপ করে শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন “পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে।”

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ অনুষদের সিদ্ধেশরী ক্যাম্পাসের  এসোসিয়েট প্রফেসর নাঈম জালাল উদ্দীন আহমেদ, বিভাগের মার্কেটিং শাখার হেড মোহাম্মদ নাজমুল হক, বিভাগের এসিসটেন্ট প্রফেসর তানভীর আহমেদ মিনার, এসিসটেন্ট প্রফেসর সাইফুল কিবরিয়া চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের এসিসটেন্ট প্রক্টর ও বিভাগের শিক্ষক আহসান কবির রুবেলসহ বিভাগের সকল শিক্ষকবৃন্দ। এসোসিয়েট প্রফেসর নাঈম জালাল উদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের উদ্ভোবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে মার্কেটিং কে বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজের অবস্থান টিকিয়ে রাখা সম্ভব সে ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।

কি-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান মার্কেটিং এর দিক দিয়ে বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় কোম্পানি  টপ অব মাইন্ড এর মিডিয়া ডিরেক্টর ঝুমুর সৈয়দা। তিনি বলেন ” শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখতে হবে, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম,সততা,কাজের প্রতি ভালবাসা থাকতে হবে।উপস্থিত ছিলেন এডভান্সড ডেভেলপমেন্ট টেকনোলোজিস লিমিটেড এর মার্কেটিং ডিরেক্টর ও “আমরাই বাংলাদেশ ” এর কো পরিচালক আরিফ আর হোসেইন।তিনি কর্মশালা অংশগ্রহন কারী শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন “বর্তমান বিশ্ব মার্কেটিং নির্ভর, যে যত ভালভাবে তার পণ্য মার্কেটিং করবে সে ততটাই পণ্যের প্রসার এর দিক দিয়ে এগিয়ে থাকবে।”

Post MIddle

২ য় পর্বে ছিল প্রোগ্রাম কনটেস্ট -২০১৭.প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল ‘ new goods generation and creating and branding for that’. প্রতিযোগীতায় ৪০ টি দল অংশগ্রহণ করেন। নতুন নতুন পণ্যের উদ্ভাবনী ও তার ব্র‍্যান্ডিং করার কৌশল রীতিমত অবাক করে দিয়েছিল বিচারকদের। নবীন ব্যাচগুলোর প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় স্টামফোর্ড অডিটোরিয়াম ছিল নিস্তদ্ধ,শিক্ষার্থীদের এত ভাল উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা বিচারকদের রীতিমত দ্বিধাদ্বন্ধে ফেলে দিয়েছিল।প্রতিযোগীতায় ধানমন্ডি ও সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসের ৫৬- ৬৩ ব্যাচের বিবিএর শিক্ষার্থীগন  অংশগ্রহন করেন।

তুমুল প্রতিযোগীতামুলক আয়োজনে চ্যাম্পিয়ন হয় ‘সিক্রেট সার্ভিস ‘ এর টিমটি।তাদের মুল উদ্ভাবনী বিষয় ছিল beach locker system।  চ্যাম্পিয়ন টিমের শাকিল আহমেদ জানান ” আমরা আমাদের এ সিস্টেম কিভাবে দর্শনার্থীদেরকে তাদের স্ব স্ব বহনকারী ব্যাগ কে সিকিউরিটি সিস্টেমে নিয়ে এসেছি,এবং আমরা এটা প্যাকেজ সিস্টেমে নিয়ে এসেছি যাতে যে কেউ এই লকার সিস্টেম ব্যাবহার করতে পারেন। প্রতিযোগীতায় প্রথম রানার্স আপ হয়েছিল ‘ ব্ল্যাক স্কাই’ টিমের দল। দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছিল “রেইনবো”.

নিচে বিজয়ী টিমগুলোর নাম দেয়া হলো –
চ্যাম্পিয়ন টিম এর নাম সিক্রেট সার্ভিস
নাম : ১ আব্দুল কাইয়ুম
২: শাকিল আহমেদ।
১ ম রানার্স আপ – রেইনবো।  তাহদিবা তাইজুল হ্যাপী,আব্দুল আজিজ।
২য় রানার আপ (ব্ল্যাক স্কাই) মো: আজাদ সরদার,অসীম কর।

পছন্দের আরো পোস্ট