ড্যাফোডিলে নারী-পুরুষের সমমর্যাদায় তারুণ্যের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার

সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, আমাদের সমাজে নারীর প্রতি এত যে সহিংসতা হয়, তার মূলে রয়েছে নারীকে মর্যাদার চোখে না দেখা, নারীর কাজকে সম্মানের চোখে না দেখা। তাই সবার আগে প্রয়োজন নারীর গৃহস্থালী কাজের অর্থনৈতিক স্বীকৃতি। নারী অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন ও স্বাবলম্বী হলেই তাকে সমাজ মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখবে সমাজ।

“মর্যাদায় গড়ি সমতা” এ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নারীর মর্যাদা বৃদ্ধি এবং সহিংসতা বন্ধে তরুন শিক্ষার্থীদের মাঝে নারীর অবদান তুলে ধরতে এবং নারী-পুরুষের সমমর্যাদা নিশ্চিতে তরুনদের ভূমিকা নিয়ে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘মাত্রা’র সহযোগিতায় গতকাল (১৬ মার্চ ২০১৭) বৃহস্পতিবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অডিটরিয়াম -৭১ এ “নারী-পুরুষের সমমর্যাদায় তারুণ্যের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

Post MIddle

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলাম এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন মানুষর জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এ এম এম হামিদুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. গোলাম মওলা চৌধুরী, স্টুডেন্ট এফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর বনশ্রী মিত্র নিয়োগী।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, নারীরা এগিয়ে চলেছে তাদের আপন শক্তিতে। আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সংস্কৃতিক, রাজনৈতিক প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে নারীর অপরিসীম অবদান। এই অবদান গুলোর পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় পর্যায়ে স্বীকৃতিও রয়েছে। অপরদিকে একজন গৃহিণী কাকডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত অবধি পরিবারে বিভিন্ন কাজ করে থাকে, উঠোন কেন্দ্রিক কৃষি এবং সবজিবাগান করছে নারী, পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের দেখভালের দায়িত্বও নারীর। কিন্তু, নারীর এই কাজগুলোকে কোন অবদান হিসাবে মনে করা হয় না। বরং ভাবা হয় এগুলো নারীর দৈনন্দিন কাজ। কিন্তু, তাদের এই শ্রম ও মেধায় এগিয়ে যাচ্ছে পরিবার ও সমাজ।

বক্তারা মনে করেন, তাদের এই কাজগুলো কে যদি যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় এবং রাষ্ট্রিয় পর্যায়ে স্বীকৃতি দেয়া হয় তবে নারী-পুরুষের সমমর্যাদা নিশ্চিত হবে এবং নারীর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন কমে আসবে। আর এক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে এবং অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। তরুণরা যদি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টায় তবেই নারী-পুরুষের সমমর্যাদার সমাজ গড়া সম্ভব।

পছন্দের আরো পোস্ট