খুবিতে তিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন সম্পন্ন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ডিসিপ্লিন আয়োজিত তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন অত্যন্ত কার্যকরী ও সফলভাবে রোববার বিকেলে শেষ হয়েছে। বিকেলে সমাপনীপর্বে অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশী খ্যাতনামা শিক্ষক-গবেষকগণ এই সম্মেলনকে অত্যন্ত সফল বলে আখ্যায়িত করে বলেন সম্মেলনে উপস্থাপিত অত্যন্ত উচ্চমানের মূল নিবন্ধসহ বহুসংখ্যক নিবন্ধ এবং সে পরিপ্রেক্ষিতে যে প্রাণবন্ত আলোচনা, প্রশ্নোত্তরপর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে কেবল ইবসেন এন্ড ফ্রিডম অব স্পিচ এর মধ্যেই সম্মেলন সীমাবদ্ধ ছিলো না বরং সারা দুনিয়ার প্রাসঙ্গিক নানা বিষয় উঠে আসে। গণতন্ত্র, মূল্যবোধ, সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যক্তি মানস, আত্মচিন্তা, আত্মপ্রকাশের অর্ধিকার, নারীর অধিকার, জেন্ডার সমতা, ইবসেনের নানা দর্শন ও পরিচিন্তনের আবেদনসহ নানাদিকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গভীর বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনায় সবাই আলোকিত হয়েছেন। দেশে দেশে কালজয়ী নাট্যকার হেনরিক ইবসেনের রচনাবলী ও তার দর্শন চর্চার প্রয়োজনীয়তা, অধিকার, প্রতিবাদের ভাষা, আত্মচিন্তা ও আত্মপ্রকাশের অধিকারসহ নানাদিক তুলে ধরা হয়।

Post MIddle

সমাপ্তিদিনে রোববার সকাল ১০টায় প্রফেসর ড. সাবিহা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেশনে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ গবেষক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কৃষ্ণা সেন। তাঁর নিবন্ধের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো ফলিবেল ফ্রিডম: প্রোব্লেমিটিক অব পোস্ট- ট্রুথ ইন হেদ্দা গোব্লর এন্ড দ্য মাস্টার বিউল্ডা। পরে প্যানেল সেশনে ‘ফ্রিডম অব স্পিচ এন্ড ইন্টলারেন্স: বাংলাদেশ কনটেক্সট’ শীষক নিবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। এছাড়া এ সেশনে আরও দুইটি নিবন্ধ উপস্থাপন করেন খুবির ইংরেজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ সারোয়ার জাহান ও সহকারী অধ্যাপক রুমানা রহমান। বিকেলে অনুষ্ঠিত শেষপর্বে প্রফেসর হিমাদ্রি শেখর রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্যানেল সেশনে চারটি নিবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এ নিয়ে তিনদিনব্যাপী এ সমে¥লনে ৫টি মূল নিবন্ধসহ ১৬টি নিবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। অংশ গ্রহণকারীরা খুবির ইংরেজি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. সাবিহা হক এবং বিশেষভাবে এ সম্মেলন আয়োজন ও তা সফলভাবে সম্পন্ন করায় প্রফেসর ড. আহমেদ আহসানুজ্জামানকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। এই সম্মেলনের মাধ্যমে হেনরিক ইবসেন ও তাঁর রচনাবলী, তাঁর দর্শন ও প্রাসঙ্গিক নানা বিষয়ে জ্ঞান লাভ করার সুযোগ পেয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করে শিক্ষার্থীরা বলেন আমরা খুবই উপকৃত হয়েছি এবং আমাদের ডিসিপ্লিন আরও সমৃদ্ধ হবে।

এ সম্মেলন আমাদের জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহবায়ক তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বিশেষ করে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লেকেনসহ ইউনিভার্সিটি অব ওসলো’র সেন্টার ফর ইবসেন স্টাডিজ এর পরিচালক প্রফেসর ফ্রুদা হেলেন্ড, ড. রুথ স্কর, হংকং ওপেন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর কোক-ক্যান ট্যাম, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কৃষ্ণা সেন ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক তপতী গুপ্তসহ দেশি-বিদেশী শিক্ষক গবেষকদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, সবার সহযোগিতা ছাড়া এ সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব ছিলো না। এই সম্মেলন তাঁর ডিসিপ্লিনের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের জন্য প্রভূত উপকারে আসবে যার মাধ্যমে ডিসিপ্লিন আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, তিনদিনব্যাপী এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লেকেন।

পছন্দের আরো পোস্ট