সামিয়ানার নিচে পাঠদান

মঠবাড়িয়ার টিকিকটা ইউনিয়নের কুমিরমারা বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের অভাবে শনিবার থেকে পরিত্যক্ত স্কুল ভবনের সামনে খোলা মাঠে সামিয়ানা টাঙিয়ে পাঠদান চলছে।বিদ্যালয়ের চারজন নারী শিক্ষক খোলা স্থানে সামিয়ানার নিচে দাঁড়িয়ে শিশুদের পাঠদান করছেন। শ্রণিকক্ষের অভাবে রোদের তাপ আর ধুলাবালিতে শিশুরা কষ্টে লেখাপড়া করছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে স্থানীয় কিছু শিক্ষানুরাগী মিলে কুমিরমারা বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরে স্কুলটি রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হলে ১৯৯৪ সালে চার কক্ষের একটি পাকা স্কুল ভবন নির্মাণ করে শিক্ষা ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ। এরপর দীর্ঘদিনেও আর সে স্কুল ভবনটি সংস্কার হয়নি। স্কুল ভবনটির পলেস্তরা খসে রড বেড়িয়ে গেছে। পিলার ও দেওয়াল জুড়ে ফাটল দেখা দেওয়ায় সেখানে পাঠদান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

২০১২ সালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্কুল ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। এরপর সেখানে পাঠদান আর সম্ভব হয় না। এমন সংকটে পার্শ্ববর্তী আবু জাফর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কুলের পুরাতন একটি টিনশেড কক্ষ প্রাথমিক স্কুলের পাঠদানের জন্য সহায়তা দেয়। সেই থেকে ধার করা এক কক্ষেই চলে আসছিল বিদ্যালয়ের লেখাপড়া। কিন্তু মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি তাদের ধার দেওয়া শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে দিতে নোটিস দিলে প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিপাকে পড়ে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমেনা খাতুন বলেন, স্কুল ভবন পরিত্যক্ত। পার্শ্ববর্তী মাধ্যমিক স্কুলের ধার দেওয়া একটি কক্ষে পাঁচ শ্রেণির পাঠদান চলে আসছিল। ওই মাধ্যমিক স্কুল কর্তৃপক্ষ  তাদের কক্ষ ছেড়ে দিতে লিখিত অনুরোধ করেছেন। ফলে শ্রেণিকক্ষ না থাকায় শিশুদের পাঠদান অব্যাহত রাখতে সামিয়ানার নিচে ক্লাস চলছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন বলেন, পুরোনো ভবনটি পরিত্যক্ত। নতুন স্কুল ভবন নির্মাণের বিষয়ে  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফা অবহিত করা হয়েছে।

সুত্রঃ ইত্তেফাক

পছন্দের আরো পোস্ট