নারী দিবস উপলক্ষ্যে গণবিতে র‍্যালি ও সেমিনার

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের উদ্যোগে র‍্যালী ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ।

৮ মার্চ (বুধবার) “সমতা উন্নয়ন ও শান্তি”-এই স্লোগানকে সামনে রেখে সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক তাহমিনা আক্তারের সভাপতিত্বে দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে র‌্যালী বের হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মোঃ দেলওয়ার হোসেন, রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন, গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ লায়লা পারভীন বানু, বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আকবর খান, মৌল ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. নজরুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগ ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী।

গণস্বাস্থ্য তথা গণ বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদাই নারীদের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী এমনকি নিরাপত্তা প্রহরী ও গাড়িচালকদের মধ্যে নারীদের সংখ্যার আধিক্য চোখে পড়ে। প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের পাশাপাশি ছাত্রীদেরও সামাজিক নিরাপত্তার ব্যাপারে যথেষ্ট সোচ্চার গণ বিশ্ববিদ্যালয়। র‍্যালী শেষ করে একাডেমিক ভবনের ৪২১ নং কক্ষে আলোচনায় সতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ করে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী।

Post MIddle

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, “গণ বিশ্ববিদ্যালয়ও সর্বদা নারীদের সমতা উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখে। শিক্ষার হার বাড়লেই নারী সচেতনতা বাড়বে, সুতরাং নারী শিক্ষার উপর গুরুত্ব বাড়াতে হবে।”

বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ ড. লায়লা পারভীন বানু সমাজে নারীদের অবস্থা তুলে ধরে বলেন, “বর্তমানে নারী শিশুদের উপর নির্যাতন বেড়েছে। সর্বস্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কেবলমাত্র নারীদেরই নয়, পাশাপাশি পুরুষদেরও এগিয়ে আসতে হবে।” তিনি আরোও বলেন, “১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আগরতলার গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল ৪৮০ বেড নিয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দান করে, যার মধ্যে নারীদের ভূমিকা ছিল অন্যতম। দেশের মেয়েদের সুযোগ দিয়ে অবশ্যই তারা এগিয়ে যেতে পারবে, গণ বিশ্ববিদ্যালয় সেই ধারা অব্যাহত রেখে সামনের দিকে এগিয়ে চলছে।
সমাজকর্ম ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক শহীদ মল্লিক উপস্থাপনা বক্তব্যে বলেন, “পুঁজিবাদী সমাজে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ও অবহেলিত আজ নারীরাই।”

নারী-পুরুষ সমতা অর্জিত হলে উন্নয়নের দিক দিয়ে বিশ্ব কর্মে আসবে নতুন মাত্রা, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এই হোক সকলের প্রত্যাশা।

পছন্দের আরো পোস্ট