রাবিতে ‘তামাকমুক্ত ক্যাম্পাস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘তামাকমুক্ত ক্যাম্পাস : বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটি ও অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি সেন্টারের (এসিডি) যৌথ উদ্যোগে বুধবার সকাল ১০টায় রবীন্দ্র ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে রাবি ক্যাম্পাসের জনসমাগম জায়গাগুলোতে ধুমপান না করা, ক্যাম্পাসে ধুমপান পরিহারের চ্যালেঞ্জ ও করণীয়, ধুমপানের ফলে অধুমপায়ীদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা, ক্লাস ও ভবনগুলোতে ধুমপান মুক্ত করাসহ নানাবিধ বিষয়ে মতবিনিময় করেন বক্তারা।
রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি কায়কোবাদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান, জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক মশিহুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ্ আজম শান্তনু ও সিন্ডিকেট সদস্য মামুন আ. কাইয়ুম।
গোলটেবিল বৈঠকের শুরুতে তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে করণীয় বিষয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন এসিডির প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর এহসানুল আমিন।
বৈঠকে অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তামাকজাত দ্রব্যে কিংবা ধুমপান সেবনের ফলে শুধু সেবনকারীরাই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে না, তাদের আশেপাশের সবাই সমান ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ ক্ষতি কমাতে সবাইকে এগিয়ে আসার কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ক্যাম্পাসকে ধূমপানমুক্ত করতে ছাত্র সংগঠনগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তারা আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসে ধূমপানসহ মাদক সেবনের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে পারে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কত শতাংশ ধূমপায়ী তার একটা পরিসংখ্যান করা গেলে হয়তো আমাদের জন্য পদক্ষেপ নেয়া সহজতর হবে। ছাত্রদের পাশাপাশি ছাত্রীরাও ধুমপান বা তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করছে কিনা তারও পরিসংখ্যান তৈরি করে পদক্ষেপ নিতে হবে।
রাবি অধ্যাপক শাহ্ আজম শান্তনু বলেন, ক্যাম্পাসে ধুমপান নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ কাজ না হলেও নিজেরা সচেতন হলে অন্যরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে না ধুমপায়ীদের দ্বারা। ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬শে মার্চ, ৩১ মে এর মতো জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে ক্যাম্পাসে ধুমপান না করার জন্য প্রচারণা চালানো যেতে পারে বলে মতামত ব্যক্ত করেন।
রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক হুসাইন মিঠুর সঞ্চালনায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, রাবিসাসের সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজ রনি, রাবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক সোহাগ।
আরো অংশ গ্রহণ করেন, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আবদুল মজিদ অন্তর, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, ছাত্রফ্রন্টের সদস্য লিটন দাসসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।#