রাবিতে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

রবিবার সকাল ১০টা। কানায় কানায় পূর্ণ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন। বর্ণিল বেলুন ও ফুলে শোভিত মঞ্চ। উপস্থিত সবার হাতে জ্বলে উঠে প্রদীপ, সম্মেলক কণ্ঠে ধ্বনিত হয় ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে…’। নৃত্য-গীতে তৈরি হয় এক মোহনীয় পরিবেশ। এমনই আবহে বরণ করে নেয়া হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন নবাগত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফাইন্যান্স বিভাগের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ও বাংলা বিভাগের ছাত্র সোহাগ সিকদারকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে বরণ করে নেন। সেখানে উপাচার্য তাঁর বক্তৃতায় বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার এক অনির্বাণ বাতিঘর। দেশ-জাতি-সমাজের সকল ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের অনেকে রাষ্ট্র ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেছে। সময়ের চাহিদা মেটাতে এখানে নতুন নতুন বিভাগ খোলা ও কোর্স-কারিকুলাম আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এ কারণে এখানে ভর্তির জন্য বিপুল প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই মেধাবীদের মধ্যে অন্যতম মেধাবীরাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। উপাচার্য আগামী দিনগুলিতে নবীন শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় তাদের সেই মেধার স্বাক্ষর ধরে রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Post MIddle

উপাচার্য আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি মুক্তবুদ্ধি চর্চার পবিত্র অঙ্গন। এখানে জাতির জন্য ক্ষতিকর কোনো কিছুর স্থান নাই। যে শিক্ষা মানুষের শুভবোধকে উন্মোচিত করে, চেতনাকে করে দেশপ্রেমে উদ্ভাসিত, নিজ মেধা ও অভিজ্ঞতাকে দেশের কল্যাণে ধাবিত করে সেই শিক্ষার আদর্শ ক্ষেত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য নবীন শিক্ষার্থীদের সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপায়ণে সদা প্রয়াসী হতেও আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর মো. মিজানুর রহমান স্বাগত বক্তৃতা করেন। সেখানে নবাগত শিক্ষার্থী রসায়ন বিভাগের মো. মাহমুদুর রহমান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের জান্নাতুল ফেরদৌস জেরিন বক্তৃতা করেন। এছাড়া উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর সায়েন উদ্দিন আহমেদ, বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা প্রফেসর মো. আখতার ফারুক, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর রুবাইয়াত ইয়াসমিন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর সেলিনা পারভীন ও প্রক্টর প্রফেসর মো. মুজিবুল হক আজাদ খান বক্তৃতা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মুহাম্মদ এন্তাজুল হক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।  নবীনবরনের শেষ পর্বে ছিল শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিবেশনায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ##

পছন্দের আরো পোস্ট