পড়াশুনার সেকাল একাল

প্রাইমারি স্কুল জীবনটা কেটেছে স্পিনিং মিল ক্যাম্পাসেই। বাসা থেকে দু’কদম এগুলেই স্কুল। আম্মা বারান্দায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতেন স্কুলে না ঢোকা পর্যন্ত। আবার ছুটি হলে স্কুল থেকে বাইরে পা দেয়া মাত্রই ঐ দূর ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতাম আম্মাকে। হাত নাড়তে নাড়তে পৌঁছে যেতাম বাসা।

এরপর প্রাইমারির গন্ডি পেরিয়ে যখন হাইস্কুলে, তখন স্কুল বহুদূর। ক্যাম্পাসের এক ঝাঁক ছেলে মেয়ের সাথে স্কুলে যেতাম বাসে করে। বেশ লাগতো। মনে হতো কত্তো বড় হয়ে গেছি।

Post MIddle

আম্মা কোনদিনই আমাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসা করেন নি। তবে আমার খুব ইচ্ছে হতো……. অন্যান্য বাচ্চাদের মতো আমার হাতটা ধরেও কেউ স্কুলে নিয়ে আসুক। স্কুলের জানালার ফাঁক দিয়ে আমি মাঝে মাঝে দেখবো আমার আম্মাও গল্প করছে সবার সাথে। আমাকে দেখে হাত নাড়ছে। ঈশারায় পড়ায় মন দিতে বলছে।

মেয়ে আমার এখন স্কুলে যায়, সাথে আমিও। আমাদের কত্তো পড়াশুনা এখন! আমরা পড়ি, অ আ লিখি, ছবি আঁকি।
আর তোমরা খালি ফেসবুক কর!

পছন্দের আরো পোস্ট