‘মাইক্রো ক্লোভার লিফ’ যানজট নিরসন করবে!

কেমন হয়-যদি আপনার চলার রাস্তায় কোন ট্র্যাফিক পুলিশ বা সিগন্যাল না থাকে? এতে করে আপনার যেমন সময় বাঁচবে, তেমনি ভোগান্তিও কমবে!- এমনই এক অভিনব পদ্ধতির সন্ধান দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাইন্স ক্লাব। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া বিজ্ঞান মেলায় যানজট নিরসনের জন্য ‘মাইক্রো ক্লোভার লিফ’ নামে সম্পূর্ণ নতুন একটি প্রজেক্টের ধারণা দিয়েছেন ক্লাব সংশ্লিষ্টরা। এই আবিষ্কারের চমৎকার স্বীকৃতিও পেয়েছেন তারা।

চলতি মাসের ১০-১১ তারিখ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া বিজ্ঞান মেলায় বিচারকদের সুনজরে পড়ে ৩য় স্থান অধিকার করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাইন্স ক্লাবের ব্যানারে মেলায় যোগ দেয়া তিন তরুণ- পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সঞ্জিত মন্ডল, সুমন সূত্রধর ও আইসিটি বিভাগের মাসুদ পারভেজ সবুজ। মেলায় ‘টিম ইনভিনসেবল’ নাম দিয়ে অংশ নিয়েছিলেন তারা।

টিম সদস্যরা জানান, তাদের এই অত্যাধুনিক ও সাশ্রয়ী ‘মাইক্রো ক্লোভার লিফ’ একটি সেমি আন্ডার পাস ও সেমি ফ্লাইওভার সিস্টেম যা যানজট চরম আকার ধারণ এমন একটি চৌরাস্তার মাঝখানে তৈরি হবে। এটি তৈরীতে ফ্লাইওভার বা আন্ডারব্রীজ থেকে তিনগুন কম খরচ হবে যেখানে একই সঙ্গে থাকবে ফুটপাথ, ইউটার্ন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ইত্যাদি।

Post MIddle

সাইন্স ক্লাবের মডারেটর ও সিএসসি বিভাগের প্রভাষক মো: হাসান হাফিজুর রহমান বলেন,‘ ‘মাইক্রো ক্লোভার লিফ’ প্রজেক্টটি সময়সাশ্রয়ী ও পরিকল্পিত নগরী গঠনে সহায়তা করবে। প্রজেক্টটিকে আমরা কোন একটি সিটি করপোরশনের কাছে হস্তান্তর করে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। সরকারি সহায়তা পেলে হয়তোবা প্রজেক্টটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তব রূপ লাভ করতো।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইন্স ক্লাবের এই সাফল্য ক্যাম্পাসে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মনে করছেন উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা ও উপর মহলের সহযোগিতায় সাইন্স ক্লাবের এই তরুণরা আরও নতুন কিছু উদ্ভাবনে উৎসাহ পাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এই তরুণদের হাত ধরেই।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাইন্স ক্লাব (CoUSC)’ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো বিভাগের জন্য উন্মুক্ত এই ক্লাবের বর্তমান সদস্যসংখ্যা প্রায় ২৫০ জন।#

পছন্দের আরো পোস্ট