রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এর শিক্ষার্থী মারা গেছেন। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ৩২ নম্বর ওয়াডে তিনি মারা যান।

Post MIddle

ওই শিক্ষার্থীর নাম আবু সাইদ (২০)। তিনি নাট্যকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে ছিলেন। বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশঙ্করপুর উপজেলায়।

সহপাঠীরা জানান, গত শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে আমরা একসঙ্গে ২০/২৫জন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার এক দোকানে খাওয়া-দাওয়া করি। খাওয়া শেষে বিভাগে আসলে সাইদ বলে, আমি দুই প্লেট ভাত খেয়েছি, আমার পেট জ্বলছে। এ সময় সাইদ নিজের কাছে থাকা একটা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খায়। অবস্থার উন্নতি না হলে রাবির মেডিকেল সেন্টারে যায় সে।

তার সঙ্গে থাকা সহপাঠীরা জানায়, রাবি মেডিকেলে তাকে একটা ইনজেকশন দেওয়া হয়। সেখানে সাইদ প্রায় এক ঘণ্টা ছিল। এরপর বিভাগে চলে আসি।

বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, ওর দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। গতকাল শুক্রবার ‘নির্বাসনে দ-’ নাটকটি সন্ধ্যায় প্রদর্শন হয়। সেখানে সাইদকে অভিনয় করার কথা ছিল। যেহেতু সাইদ অসুস্থ তাই তাকে জিজ্ঞাসা করি তুই প্রোডাকশনে কাজ করবি কি না? ও বলে, হ্যাঁ ভাইয়া করব।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নাটক শুরু হয়, শেষ হয় সাড়ে ৮টায়। এরপর আবার সে বলে, আমার ভাল লাগছে না। এসময় তাকে আবার রাবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান চিকিৎসক তার আগের ব্যবস্থাপত্র দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

সঙ্গে থাকা সহপাঠীরা বলেন, রামেকে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসকরা তিন ধরনের টেবলেট দেয়, সঙ্গে একটা ইনজেকশন। ইনজেকশন ও ওষুৃধ খাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে সাইদ ঘুমিয়ে যায়। এর মধ্যে সে দুই-তিনবার চেতন পায়। রাত ৪টার দিকে হঠাৎ আমরা সাইদের অদ্ভুত শব্দে জেগে উঠি। আমরা দেখি সে বমি করছে। এর মধ্যে ইন্টার্ন ডাক্তার এসে একটা ইনজেশন আনতে দেয়। ইনজেকশন আনার আগেই সাইদ মারা যায়।

এ বিষয়ে নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে বলে ডেথ সার্টিফিকেটে বলা হয়েছে। বেলা ১১টার দিকেশিক্ষার্থীরা তার গ্রামে ঠাকুরগাঁও যাচ্ছে। আমরাও বিভাগে এ নিয়ে মিটিং করছি।’#

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট