ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ১৬তম সমাবর্তন
শুধুমাত্র পাঠ্যসূচী অনুযায়ী শিক্ষা নয়, বরং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সামাজিকতা, মানবিকতা ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেবার তাগিদ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সাথে আমাদের দেশেও কিছু বিপথগামী তরুণের আচার-আচরণ সমাজকে ভীষণ ভাবে নাড়া দিয়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিজাত পরিবারের সন্তানদের জঙ্গীবাদের মত উগ্র সমাজ ও ধর্ম বিরোধী কার্যক্রমে জড়ানো আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে।
তাই শিক্ষার্থীদের নিয়মিত সমাজ ভাবনায় উজ্জীবিত করা, দায়িত্বশীলতা ও সহিষ্ণুতা অর্জনের শিক্ষা দিতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। বুধবার বিকেলে রাজধানীর আফতাব নগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে অনুষ্ঠিত ১৬ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন। এবারের সমাবর্তনে আন্ডার গ্রাজুয়েট ও গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ২০৭২ জন শিক্ষার্থীকে সনদ তুলে দেয়া হয়। এছাড়া অনন্য মেধাবী চারজন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণ পদক পরিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি।
সমাবর্তন বক্তা, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পদার্থ বিজ্ঞানী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. এম জাহিদ হাসান বলেন, বর্তমান সময়ের অসহিষ্ণুতা, গোঁড়ামি ও মানবিক মূল্যবোধের অভাব আমাদের ইতিহাসের উল্টোপথে চালিত করছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক চিন্তা, বাক স্বাধীনতা ও দায়িত্ব বোধের যথাযথ শিক্ষা, একটি সুন্দর উদার নৈতিক দেশ ও জাতি গঠনে উপযোগি হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, পৃথিবী এখন অনেক সমস্যায় জর্জরিত। দারিদ্র, বেকারত্ব, অপ্রত্যাশিত মৃত্যু, জঙ্গীবাদ পৃথিবীকে অন্ধকার করে ফেলেছে। ইষ্ট ওয়েস্টের তরুণ গ্রাজুয়েটরা আলোকিত ভ’মিকা রেখে সমাজ থেকে সেই অন্ধকার দূর করতে ভূমিকা রাখেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান বলেন, আমরা যদি জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি, তাহলে শিক্ষার্থীরা তাঁদের কর্মজীবনে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বড় ধরনের ভ’মিকা রাখতে পারবে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যগণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপার্সনগণ, শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা- কর্মচারী, গ্রাজুয়েট ও তাদের অভিভাবকরা অংশ নেন। শিক্ষা জীবনের শেষে যথাসময়ে সনদ হাতে পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।##