রুয়েট শিক্ষকদের লাগাতর কর্মবিরতি শুরু

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) অনির্দিষ্টকালের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচী পালন শুরু করেছেন শিক্ষকরা। কর্মবিরতির প্রথম দিন সোমবার রুয়েটের কোন বিভাগেই ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।

Post MIddle

রুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নীরেন্দ্রনাথ মুস্তাফি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকদের নিয়ে মিথ্যাচার এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পোস্ট করা এবং উপ-উপাচার্যের কক্ষে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। শিক্ষকদের সঙ্গে এহেন অছাত্রসুলভ ও অশোভনীয় আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে রবিবার বিকেলে শিক্ষক সমিতির জরুরী সভায় ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী সোমবার শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।

ড. নীরেন্দ্রনাথ মুস্তাফি বলেন, শিক্ষকদের এ আন্দোলন চলবে যতক্ষণ না তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়।

তবে অসদাচরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘৩৩ ক্রেডিট’ পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির মধ্যে থাকায় বাধ্য হয়ে এই পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করতে হয়েছে। শিক্ষকরা এ দাবি মেনেও নিয়েছেন। সুশৃঙ্খল এই আন্দোলনে আমরা শিক্ষকের সঙ্গে কোন অসদাচরণ করিনি।

তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শিক্ষকদের নামে কোন অপ্রীতিকর মন্তব্য নেই। স্যারেরা আমাদের ওপর রাগ করেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে ক্ষমা প্রার্থনা করবো।

প্রসঙ্গত, ৩৩ ক্রেডিট বাতিলের দাবিতে গত ২৮ জানুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে আন্দোলন করে আসছিল রুয়েটের ১৪ ও ১৫ সিরিজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের ষষ্ঠ দিন শনিবার থেকে রুয়েট উপাচার্যসহ ১৫ শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে রুয়েট শিক্ষার্থীরা। টানা ২৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর রবিবার দুপুরে রুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরী সভায় ‘৩৩ ক্রেডিট’ পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আর তারপরই শিক্ষক সমিতি তাদের কর্মবিরতি ঘোষণা করেন।#

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট