ইউজিসিতে কারিকুলাম ফরমেটের জাতীয় কর্মশালা

উচ্চ শিক্ষার জন্য কারিকুলাম ফরমেট তৈরির একটি জাতীয় কর্মশালা রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)  বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী এ কর্মশালার উদ্দেশ্য দেশের উ”শিক্ষার জন্য একটি অভিন্ন পাঠ্যক্রমের নকশা প্রণয়ন করা।ইউজিসি ও হেকেপের এআইএফ সাব-প্রজেক্ট যৌথভাবে এ কর্মশালাটি আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মানান। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা। কর্মশালায় রির্সোস পার্সন হিসেবে ছিলেন ইউজিসি সাবেক সদস্য প্রফেসর ড. এম. মুহিবুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মোজাহার আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের প্রফেসর ড. মো. ছিদ্দিুকুর রহমান ।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, কমিশনের সচিব ড. মো. খালেদ ও এর অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম এসময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আবদুল মান্নান ভিশন ২০২১ অর্জনের লক্ষ্যে একটি যুগোপযোগী ও মানসম্মত কারিকুলাম ফরমেট তৈরির উপর গুরুত্বারোপ করেন।

Post MIddle

তিনি জানান, বর্তমান কারিকুলাম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য যথাযথ নয়। ক্রমবর্ধমান বিশ্বের দক্ষ ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার্থীদের সাথে টিকে থাকতে দেশে আধুনিক কারিকুলাম প্রণয়নের উপর জোর দেন।

তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের কারিকুলামগুলো প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছরের পুরনো। এটি পড়ে আমাদের দেশে দক্ষ ও জ্ঞানভিত্তিক স্নাতক তৈরি হচ্ছে না। তিনি বলেন, দেশ ও বিশ্বের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে আমাদেরকে নিয়মিতভাবে পাঠ্যক্রম আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করতে হবে।

ইউজিসি চেয়ারম্যান তাঁর বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পের মধ্যে সহযোগিতার উপর জোর দেন। তিনি কারিকুলামে ক্যারিয়ারভিত্তিক শিক্ষা ও জ্ঞানের উপর তাগিদ দেন। পাশাপাশি, বিশ্বায়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ ও আইটির উপর দক্ষতা অর্জন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও পরামর্শ দেন।

প্রফেসর ইউসুফ আলী মোল্লা তাঁর ভাষণে বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যেতে হলে দক্ষ মানবসম্পদের বিকল্প নেই। এজন্য আমাদেরকে উন্নত শিক্ষা ও যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করতে হবে বলেও জানান তিনি।

পছন্দের আরো পোস্ট