কুবিতে  সরস্বতী পূজা উদযাপিত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে শ্রী শ্রী স্বরসতী পূজা। বুধবার সকালে  বাণী অর্চনার মধ্যদিয়ে শুরু হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা ।
এরপর দুপুর ১২টায় শুরু হয় আলোচনা সভা ।পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ একাংশের সভাপতি দুলাল চন্দ্র নন্দীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর কুন্ডু গোপীদাস; অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় ধর্মীয় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বামী হরি প্রেমানন্দ মহারাজ, রামকৃষ্ণ মিশন, কুমিল্লা; অধ্যাপক শ্যামাপ্রসাদ ভট্টাচার্য, শ্রীকাইল কলেজ; দেবর্ষি শ্রীবাস দাস, পরিচালক, ইসকন ইয়ুথ ফোরাম, সিলেট ।
.
আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কুবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান আলিফ; সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী; ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস হোসেন সবুজ; কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি রবিউল হক রবিসহ সমিতির অন্যান্য সদসবৃন্দ।
Post MIddle
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো: আলী আশরাফ বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমাদের সেই শিক্ষায় আত্মনিবেশ করতে হবে যেখানে কুপমন্ডুকতা থাকবে না। সরস্বতী হলেন জ্ঞান, বিদ্যা, সংস্কৃতি ও শুদ্ধতার দেবী। সৌম্যাবয়ব, শুভ্র বসন, হংস-সংবলিত, পুস্তক ও বীণাধারিণী এই দেবী বাঙালির মানসলোকে এমন এক প্রতিমূর্তিতে বিরাজিত, যেখানে কোনো অন্ধকার নেই, নেই
অজ্ঞানতা বা সংস্কারের কালো ছায়া। দেশ ও জাতির
উন্নয়নে বিদ্যা দেবির আরাধনার বিকল্প নেই।  তিনি বলেন, সনাতন ধর্মে শিক্ষাকে উঁচু স্তরে আসীন করা হয়েছে ।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সকল
শিক্ষকদের মধ্যে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা রাখা প্রয়োজন।  শিক্ষক সমিতিকে দ্রুত ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করছি।’ আন্দোলনের কারনে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে-এমন আন্দোলন থেকে শিক্ষকদের বিরত থাকতেও আহবান জানান উপাচার্য।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এতে পারফর্ম করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন “প্রতিবর্তন” ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ব্যান্ডদল “প্ল্যাটফর্ম”।#

 

 

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট