শেষ হলো একাদশ জাতীয় রোভার মুট ২০১৭

মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এবং ‘শান্তিময় জীবন উন্নত দেশ’-এই স্লোগানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী (২৫-৩১ জানুয়ারি) রোভার স্কাউটদের সর্ববৃহৎ সমাবেশ ‘একাদশ জাতীয় রোভার মুট ২০১৭’ শেষ হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলা সদরের মানিকদাহ হাউজিং এলাকায় সপ্তাহব্যাপী জাতীয় রোভার মুটে সার্কভুক্ত দেশসমূহ ও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ এবং বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ১০ হাজার রোভার স্কাউট, স্বেচ্ছাসেবক রোভার ও কর্মকর্তারা অংশ নেন।

অংশগ্রহণকারী রোভার স্কাউটসরা বিভিন্ন কর্মসূচিতে মুটের ১৫টি আকর্ষণীয় ও চ্যালেঞ্জিং প্রোগ্রাম যেমন সুস্থ দেহ সুন্দর মন, তাঁবু কলা, জল তরঙ্গ, বাঁধা পেরিয়ে, অজানার পথে, আনন্দ খেলা, মানুষ মানুষের জন্য, যাবো বহুদূর, জিডিভি, আমার দক্ষতা, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, আমরাও পারি, তাঁবু জলসা, শান্তি ও সম্প্রীতি, আমার সময় ইত্যাদি এবং গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ভিলেজে অংশগ্রহণ করে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন ও নতুন নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে।

উল্লেখিত ১৫ চ্যালেঞ্জিং প্রোগ্রামে অংশ গ্রহন করে সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি রোভার স্কাউট গ্রুপ চ্যালেঞ্জ ৪: বাঁধা পেরিয়ে, চ্যালেঞ্জ ৫: অজানার পথে, চ্যালেঞ্জ ৯: গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ভিলেজ এবং চ্যালেঞ্জ ১২: আমরাও পারি-এই ৪ টিতে প্রথম স্থান অর্জন করে এবং চ্যালেঞ্জ ১১: বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ও চ্যালেঞ্জ ১৫: আমার সময়-এই ২ টিতে তৃতীয় স্থান অর্জন করে বিশ্ব স্কাউট সমাজে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়।

‘একাদশ জাতীয় রোভার মুট ২০১৭’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী মো. শাজাহান খান।

Post MIddle

একাদশ জাতীয় রোভার মুট ২০১৭মুট চলাকালে প্রতিদিনই একটি করে ভিলেজ হাইক করে টুঙ্গিপাড়া যায় এবং সেখানে একদিন এক রাত অবস্থান করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্থানীয় গ্রামসমূহের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বীজ বিতরণ ও সবজি বাগান, গবাদি ও পশু-পাখির স্বাস্থ্য পরীক্ষা, স্বাস্থ্য শিক্ষা, মশারি ব্যবহার, হাত ধোয়া, খাবার সংরক্ষণ, জৈব সার, বন্ধু চুলা, বিদ্যুৎ সাশ্রয়, ভূমিকম্প ও বজ্রপাতে করণীয়, শিশু সুরক্ষা, ইভটিজিং, ভাঙা রাস্তা মেরামত ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও হাতে-কলমে কাজ করে।

একাদশ জাতীয় রোভার মুটের ভেন্যু ছিল গোপালগঞ্জ জেলা সদরের মানিকদাহ হাউজিং এলাকায় মুটের মূল এরিনা এবং টুঙ্গিপাড়া ক্যাম্প ইন ক্যাম্প।

জাতির পিতার স্বপ্নপূরণে বঙ্গবন্ধুর যে আহ্বান ছিল তা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য মুটের মূল এরিনার নামকরণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যারিণা’ এবং ক্যাম্প ইন ক্যাম্পের নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনীর নামে ‘শেখ ফজিলাতুন্নেসা ক্যাম্প’।

এ ছাড়া রোভার মুটের সমগ্র এলাকাকে চারটি ভিলেজে ভাগ করে জাতীয় চার নেতার নামে নামকরণ করা হয়।

পছন্দের আরো পোস্ট