কুবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের ২৪ পদ থেকে পদত্যাগ

শিক্ষকের বাসায় হামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও বিচারের দাবি, শিক্ষক লাঞ্চনাকারী ডিন ও বিভাগীয় প্রধান এম এম শরীফুল করীমকে তদন্ত চলাকালীন সময়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতিসহ ৬ দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ (একাংশ) আন্দোলনের ৯ম দিনে সকল প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছে। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু পরিষদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক মো: জিয়া উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ জানান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।  উপাচার্য কর্তৃক শিক্ষকগনের মধ্যে বিভক্তি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জামায়াতিকরনসহ অযাচিত মন্তব্য প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্যবৃন্দের মধ্যে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে আসীন আছেন তারা স্ব স্ব পদের বিপরীতে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এছাড়াও বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি যেসব দাবি দাওয়া ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ সে সকল বিষয়ের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের অপরাংশের সভাপতি দুলাল চন্দ্র নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক সমিতিকে ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা চালুর আহ্বান জানায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তারা জানায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত দুইজন শিক্ষকের বাসায় ডাকাতিকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জানুয়ারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একটি এজেন্ডা নিয়ে জরুরী সাধারণ সভা আহবান করে। উক্ত সাধারণ সভায় দলমত নির্বিশেষে উপস্থিত সকল শিক্ষকবৃন্দ সংঘটিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবী করেন। কিন্তু শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নামে হীন উদ্দেশ্যে আরও পাঁচটি দাবী উল্লেখ করে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রেস-বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয় যা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় আলোচনা হয়নি। এ সকল কার্যক্রম শিক্ষক সমিতির ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করেছে।
উক্ত পরিস্থিতিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। যাতে সংঘটিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং এ সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহবান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যহত না করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে শিক্ষক সমিতির বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদকে উক্ত কর্মসূচি ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার করতে বলা হয়।

Post MIddle

এবং আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি হতে সংশ্লিষ্ট সকলকে (শিক্ষক-শিক্ষার্থী) ক্লাশ-পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করার জন্য আহ্বান জানায় বঙ্গবন্ধু পরিষদের এই অংশ।

পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘ছাত্র উপদেষ্টা, হল প্রভোস্ট, হাউজ টিউটরসহ ১২টি প্রশাসনিক পদ এবং অন্যান্য ১২টি পদসহ মোট ২৪ টি পদের শিক্ষকরা পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। তবে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্টের কার্যকাল শেষ হয়ে যাওয়ায় উক্ত পদত্যাগপত্রটি উপাচার্য বরাবর উপস্থাপন করা যাচ্ছেনা।

পছন্দের আরো পোস্ট