রুয়েটে আন্দোলন অব্যাহত

৩৩ ক্রেডিট বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ও ১৫ সিরিজের শিক্ষার্থীরা। সোমবার একই দাবিতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

তবে তৃতীয় দিনের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে।শিক্ষার্থীদের এ অভিযোগকে অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সোমবার একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম হলের সামনে সকালে অবস্থানকালে শিক্ষকরা আনসারদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের গায়ে হাত তুলেছে। যারা আন্দোলন করছে তাদেরকে হুমকি দিয়ে গেছে। এসময় উপাচার্য স্যার হুমকি দিয়ে বলেছেন, তোমাদের সামনে দুইটা অপশন, হয় তোমরা ক্লাসে যাবা নয়তো তোমাদের অনির্দিষ্টকালীন ছুটি দেওয়া হবে।

তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল থেকে মেয়েদের বের হতে দেয়া হয়নি। হল গেটের ভেতরে তালা লাগিয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এছাড়া, যারা আন্দোলন করছিলো সে সকল মেয়েদের নাম রোল লিখে নেয়া হয়।

ওই সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হল গেটে অবস্থান নেয় এবং হলের ভেতরে কয়েকজন শিক্ষক ছয় ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে বেলা ৩টার দিকে রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রহমান নিবিড় ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান তপু ওই শিক্ষকদের উদ্ধার করেন

Post MIddle

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুয়েটের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জালালউদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে আন্দোলন করছে। তবে তাদের ওপর হাত দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। কোনো শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীর কাধে হাত রেখে বলে ক্লাসে যাও, আর সেটাকে যদি মারা বলা হয় তা দুঃখজনক।

জালালউদ্দিন আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত হবে এখনো তা পরিষ্কার নয়। এটা প্রশাসনিক বিষয়। এ নিয়ে প্রশাসনে এখানো আলোচনা চলছে। আলোচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে পরে সেটা জানানো হবে।

আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি না মানলে আরো কঠোর আন্দোলনে যাবো। আমরা ৩৩ ক্রেডিট বাতিল চাই। বাতিল করে আগের ক্যারি অন সিস্টেমে ফেরত যেতে চাই। আগের সিস্টেমে কারো কোনো ব্যাক লক থাকলে পরের বছর সুপার লক সিস্টেমে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ ছিলো। এবং পরের বছর পরীক্ষা দিয়ে সেটা কাভার করা যেতো। বাংলাদেশের সকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পদ্ধতিটাই প্রচলিত আছে। কিন্তু বর্তমানে রুয়েটে এক বছরে ৩৩ ক্রেডিট না তুলতে পারলে তাদেরকে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক এনএইচএম কামরুজ্জামান সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে। তবে এ বিষয়ে এখন কিছুই বলতে পারবো না।

জানতে চাইলে রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগ বলেন, শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করা হয়নি। আমরা তাদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেছি।

পছন্দের আরো পোস্ট