রুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত
ন্যূনতম ৩৩ ক্রেডিট পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ক্লাস বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার সকাল ১০টা থেকে শহীদ মিনার চত্বরে ১৪ ও ১৫ সিরিজের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনের মতো এ কর্মসূচি পালন করেছে।
শনিবারও একই দাবিতে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। তবে শিক্ষার্থীদের এ দাবিকে অযৌক্তিক দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কর্মসূচি থেকে দাবি আদায় না হওয়া আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন বলে ঘোষনা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রুয়েট ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, পরবর্তী বর্ষে ওঠার জন্য দুই সেমিস্টারে ৪০ ক্রেডিটের মধ্যে ন্যূনতম ৩৩ ক্রেডিট পাওয়া বাধ্যতামূলক। এটি অর্জন করতে না পারলে তাকে পরবর্তী বর্ষে উঠতে দেয়া হয় না। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ নিয়ম চালু করা হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৩৩ ক্রেডিট পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছে। বিশেষ করে, রুয়েটে ক্লাস-ল্যাবের সঙ্কট থাকার কারণে যারা ক্রেডিট অর্জন করতে পারবে না তাদেরকে অন্য ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস বা ল্যাবে থাকতে হবে।
এছাড়া কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ বা অন্য কোনো সমস্যার কারণে পরীক্ষা দিতে না পারলে তার এক বছরের বেশি সময় ক্ষতি হবে। এমনকি সিলেবাসগত জটিলতাতেও পড়তে হয় ওই শিক্ষার্থীকে। প্রশাসন কোনো পদ্ধতি প্রণয়ন করলে সেটা সবদিক বিবেচনা করে করা উচিত বলেও দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের এ দাবিকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগ বলেন, অকৃতকার্য হয়ে কি কখনো ওপরের ক্লাসে ওঠা যায়? আমরা তবুও দুই-তিনটি বিষয়ে ফেল করলেও পরের বর্ষে উঠার ব্যবস্থা রেখেছি। ওরা সব বিষয়েও ফেল করে পরবর্তী বর্ষে উঠার দাবি করছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবার বিভাগীয় প্রধান ও ডিনদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।##