
রিলেশনশিপ জিনিসটা আসলে কি?
শাব্দিক অর্থে রিলেশনশিপ মানে হলো – দ্য ওয়ে ইন হুইচ টু ওর মোর পিপল আর কানেক্টেড অর দ্য স্টেট্ অফ বিয়িং কানেক্টেড!!
এই কানেকশন নানা ধরণের হতে পারে!!বাবা মা ভাই বোনের সাথে এক রকম,স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এক রকম,বন্ধুদের সাথে অন্যরকম!!কিন্তু ঘটনা হলো আমরা যেভাবেই যার সাথে কানেক্টেড হই না কেন,সব ক্ষেত্রেই রিলেশনশিপ গোলটা থাকে বিয়িং হ্যাপি,ফিলিং সেফ এন্ড সিকিউর!!কিন্তু সবসময় এই গোল পর্যন্ত কানেকশন গড়াতে নাও পারে!!এমনকি ভালো সম্পর্ক তৈরী হবার মতো পারিবারিক,সামাজিক এবং মানসিক অবস্থা এবং প্রস্তুতি থাকার পরেও!!
বিবাহে বলেন আর বন্ধুত্বে বলেন,সমস্ত নিয়ামক ঠিক থাকার পরেও সম্পর্ক হয়না!!বিবাহ বিচ্ছেদ হয়,বন্ধুত্ব ভেঙে যায়!!কিন্তু কেন??কারন হল সবার সাথে সবার ঠিক “ক্লিক” টা হয়না!!মানে এনিওয়ান ইজ নট কম্প্যাটিবল উইথ এনিওয়ান!!প্রত্যেকেরই একজন বিশেষ মানুষের সাথে সম্পর্ক হয়!!অসংখ্য পরিচিত মানুষের মধ্যে একজনের সাথে প্রেম হয়!!স্কুল কলেজে একশজন ক্লাসমেট থাকা সত্বেও মাত্র একজন বা গুটিকয়েক “ভালো বন্ধু” হয়!!
সমস্যা হলো কখনো কখনো আমরা সম্পর্কে ক্লিকিং বিষয়টাকে ভুল জিনিসের সাথে মিলিয়ে ফেলি!!এতো বুঝায়ে বলতে পারবোনা শুধু বলি “ক্লিক”এর যায়গায় টুং টাং ক্রিং ক্ৰং যাই হোক আমরা ধরে নেই সম্পর্ক বুঝি জমে দই হয়ে গেলো!!কিন্তু আসলে ঐটা দই হয়না না বরং লং রান এ পঁচে গিয়ে জীবনকে বিস্বাদ করে তোলে!!
এখন আমরা বুঝবো কিভাবে যে সাউন্ড টা আসলে ক্লিক এর বদলে টুং টাং ক্রিং ক্ৰং হচ্ছে!!
ভুল সম্পর্কের সবচেয়ে প্রথম সাইন হচ্ছে আপনার পার্টনার বা বন্ধু খুবই ডমিনেটিং এবং কন্ট্রোলিং!!মানে অলওয়েজ সেই রাইট!!সে যা বলবে তাই ঠিক!!দুনিয়ার সব জিনিস সেই জানে সে বোঝে!!সে হচ্ছে কুতুবুদ্দিন আইবেক বাকি সবাই পায়জামা!!সব কাজ তার ইচ্ছা মতো করতে হবে মানে পুরা “লেফট রাইট” করার মতো সিচুয়েশন!!এমনকি তার ডিক্টেটরশিপ এর কারণে আপনি নিজের মনের কথা বলতেও যখন নার্ভাস ফিল করেন কনফিডেন্স এর অভাব বোধ করেন তখন বুঝবেন ঘটনা খারাপ!!এই লোক লোক নয় আরো লোক আছে,এই লোকেরে ছাইড়া দিয়া যাইতে হবে সেই লোকেরই কাছে.. এ এ এ এ এ য়ে……………
দুই নাম্বার সাইন -আপনারা অলওয়েজ তর্ক করেন!! যেকোনো ইস্যুতে চার লাইন কথা বললে সাড়ে তিন লাইনএই দুইজন অমত পোষণ করেন!!অথবা দুইজনের পছন্দ অপছন্দ সবসময় ডিফারই শুধু করে না ইরিটেশন ও তৈরী করে!!মানে সবসময় চিরবিরা টাইপ একটা রাগ উঠে থাকে!!
সবকিছু বেশি পারফেক্ট??এটা হলো সবচেয়ে বড় ইম্পারফেকশনের লক্ষণ!!আমরা মানুষ,রোবট না!!আমাদের কখনো ভুল হবে কখনো শুদ্ধ হবে কখনো আমরা অর্গানাইজ থাকবো কখনো এলোমেলো!!এইটা হলো রিয়েল আস!! সব সময় সব কিছুতে পারফেক্ট থাকা আরোপিত বা ফেইক!!বাইরের মানুষের সাথে ফেইক হলে ঠিক আছে কিন্তু নিজের মানুষের সামনে যদি নাকের পানি চোখের পানি একসাথে করে হাত পা ছড়ায়ে কান্তেই না পারলাম সে কিসের আপন??হুহ
সম্পর্কটা কি হিন্দি সিরিয়ালের সম্পর্কের মতো??অতিরিক্ত সাজানো মানে ড্রামাটিক??সবসময় মেক আপ দিয়ে কথা বলা টাইপ?? মেকি ভালোবাসা,মেকি কান্না,মেকি সম্মোধন??এই সম্পর্ক কিছুদিনের মধ্যে টায়ারিং হয়ে যাবে মাস্ট!!সেটা স্বামী- স্ত্রীর সাথেই হোক বা বন্ধুবান্ধবের সাথেই হোক!!
এইবার বলি,আমি কিভাবে বুঝি যে আমার কারো সাথে ক্লিক হয় নাই!!আমার আর কিচ্ছু লাগেনা, সিম্পলি শরীর আমাকে জানিয়ে দেয় যে আমার আসে পাশে ভুল মানুষ আছে!!
শুধু আমার না,প্রত্যেকেরই এটা হয়!!যেমন আমরা যখন বিস্বাদ কিছু বাধ্য হয়ে গিলতে যাই,তখন আমাদের বমি চলে আসে,কারণ আমাদের শরীর সেটা বের করে দিতে চায়!!চোখে কিছু পড়লে চোখ এ অস্বস্তি হয় পানি পড়া শুরু করে!!স্ট্রেস হলে আমাদের চুল পরে!!
ঠিক একই ভাবে কোনো ভুল মানুষের আসে পাশে থাকলে আমাদের শরীর রিয়েক্ট করা শুরু করে,মন খারাপ হয়ে থাকে,কান্না পায়,শরীরে কোনো এনার্জি থাকেনা!!কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা বুঝতেও পারিনা যে পাশের মানুষটা আমাদের এংজাইটির কারণ!!আমার তো ডিরেক্ট পিম্পল ব্রেক আউট হয় ভুল সম্পর্কে থাকলে!!এবং ওই সম্পর্ক থেকে কুইট না করা পর্যন্ত পিম্পল ভালো হয়না
সবকথার শেষ কথা পার্টনার,বন্ধু,বা রিলেশনশিপ ঠিক আছে কিনা এটা বোঝার সবচেয়ে ইফেক্টিভ ওয়ে টা হিন্দি সিনেমায় যুগ যুগ ধরে দেখানো হচ্ছে!! ক্লোজ ইয়োর আইস এন্ড আস্ক ইয়োরসেল্ফ – এই ছেলেটা/মেয়েটা/পুরুষ/মহিলাটাকে কি সত্যি আমার ভালো লাগে??
যদি উত্তর উইদাউট হেসিটেশন “ইয়েস”হয় তাহলে ঠিক ঠিক আছে!!কিন্তু “ইয়েস” এর পরে যদি কোনো “বাট” থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনি নিঃসন্দেহে বাটে আছেন..