ইবিতে আইনের পাঠ্যক্রম পরিকল্পনা ও পর্যালোচনা শীর্ষক কর্মশালা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের পাঠ্যক্রম পরিকল্পনা ও পর্যালোচনা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ( ৯ জানুয়ারি) সোমবার সকালে আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের সেলফ্ এ্যাসেসমেন্ট কমিটির আয়োজনে, আইন ও শরীয়াহ্ অনুষদের সেমিনার কক্ষে এ কর্মশালা অনুর্ষ্ঠিত হয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও আইন বিভাগের এস.এ কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন আইন ও শরীয়াহ্ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নূরুন নাহার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে আইন বিভাগের এস.এ রিপোর্ট সমাপ্তির পথে জেনে আমি আশ্বস্ত হয়েছি। তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষা নিয়ে নীতিনির্ধারক মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এদেশের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটি আম্ব্রেলা নীতিমালার অধীনে আনার কাজ চলছে। এর ফলে শিক্ষার গুণগতমানের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, আজকের এই কর্মশালার গুরুত্ব ব্যাপক। এই কর্মশালায় যে বিষয়গুলো আলোচিত হবে, সেগুলো বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আরও সমৃদ্ধ করবে ।

Post MIddle

বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন আন্তর্জাতিকমানের, বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার্থী তৈরীর লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। সে কাজে আমাদের সকলকেই ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, আত্মমূল্যায়ন, আত্মসমালোচনার মধ্যদিয়ে আমাদেরকে কাঙ্খিতমান অর্জন করতে হবে।

সভাপতি বক্তৃতায় ট্রেজারার ও আইন বিভাগের এস.এ কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার মান যেন বিশ্বমানের হয়। আমরাও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকমানের করতে চাই।

একাডেমিক কার্যক্রমসহ সকল কর্মকান্ডে বর্তমান প্রশাসন যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে, এক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকলকে কাজ করতে হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রির্সোস পার্সন হিসেবে কর্মশালায় আলোচনা করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী এবং আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহম্মদ জহুরুল ইসলাম।

কর্মশালায় আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের শিক্ষক এবং বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

পছন্দের আরো পোস্ট