পুচুুর গ্যাসটিক এবং ইনফেকশন
সেদিন সন্ধায় ঢাকার মিরপুরের দীর্ঘদিনের পরিচিত একটি ফার্মেসিতে বসে ফার্মেসি মালিকের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম।এসময় একটি বিড়ালকে বুকে জড়িয়ে ধরে ২টি মেয়ে ফার্মেসিতে উপস্থিত হয়ে একটি প্রেসক্রিপশন দিয়ে বললেন এই ইনজেকশনটি হবে?
ফার্মেসি মালিক প্রেসক্রিপশনের ঐ ট্রাইজন ইনজেকশনটি দিলেন।মেয়েটি ইনজেকশনটি হাতে নিয়ে নাড়া-চাড়া করে বললেন সুচটা বড়-এই সুচ দিয়ে আমার পুচুুকে পুশ করলে ও খুব কষ্ট পাবে, এসিঅাই কোম্পানীর টা দেন-ওটার বেবি সুচ।
ফার্মেসি মালিক এসিআই কোম্পানীরটা দিলেন এবং মেয়েটির বিড়াল তথা পুচুুকে ইনজেকশন দেওয়া সম্পূর্ণ করলেন যা দেখে মেয়েটির সেকি কষ্ট…।
এতসব কান্ড দেখে আমার খুব উৎসাহ হল তাই আমি মেয়েটির নিকটে বিনয়ের সাথে তার পরিচয়, প্রফেশন, এবং তার বিড়াল সম্পর্কে জানতে চাইলাম।
উত্তরে মেয়েটি তার নাম জানিয়ে বললো আমি গ্রাজুয়েশন করছি, আর আমার বিড়ালের নাম পুচু। আমার লক্ষিটির গ্যাসটিক এবং ইনফেকশন হয়েছে।
আমি আরো উৎসাহ নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম; কিভাবে বুঝলেন আপনার পুচুর ঐ সমস্যা হয়েছে ?মেয়েটি জানাল কেন ইসিজি, একো্র ও আল্টাসনুগ্রাম করে জানতে পেরেছি। গুলশান ২নং-এ, ৯৭ নং রোডের ডিসিসি মার্কেটে ১০ নং ইউনিটে সকল পরীক্ষা এবং অপারেশন করা যায়। আমি তো রেগুলার ওখানে আমার পুচুকে ডাক্তার দেখায়।
আমি অতি উৎসাহে আরো জিজ্ঞাসা করলাম আপু খরচ কেমন ?
মেয়েটি জানাল,ডাক্তার ভিজিট প্রতিবার ৭০০/- এছাড়া একদিন পর পর টাটকা দেশি মুরগি ও ইলিশ মাছ সিদ্ধ ও খুব পছন্দ করে। তবে দুধ ও একেবারেই পছন্দ করে না। আমার পুচুর ২টি বাচ্চা আছে, ওদের সহ প্রতিদিন একটি মুরগি ও একটি মাছ এবং ডাক্তার ও ঔষধ নিয়ে মাসে মাসে ১০/১২ হাজার টাকা খরচ হয়।
এছাড়া পিচুদের জন্য আমার এজমা রোগ হয়ে গেছে। কিন্তু কি যে করি??? ওদের মায়া ছাড়তে পারিনা।
আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল; আমি বললাম- আপু অাপনার বাসার পাশে যদি কোন মানুস এভাবে অসুস্থ হয়, তবে আপনি কি তার জন্য এভাবে করবেন???
কিছুক্ষন চুপ থেকে বললেন; বোধহয় না।
তারপর আমার মুখ থেকে আর কোন কথা বের হয়নি।