ঢাবিসাসের “জঙ্গিবাদ নির্মূলে গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনার

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশই হোক বিজয়ের অঙ্গীকার’ স্লোগান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে “জঙ্গিবাদ নির্মূলে গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক এক সেমিনার গতকাল ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

সমিতির সভাপতি ফরাহদ উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ফররুখ মাহমুদের পরিচালনায় সেমিনারে জঙ্গিবাদ নির্মূলে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।

Post MIddle

সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম, ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াদুল করিম, সাবেক সভাপতি এম এম জসীম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নয়ন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, মানুষের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে যুদ্ধ, জঙ্গিবাদসহ সবই নির্মূল করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন শিক্ষার। এই শিক্ষা শুধু শ্রেণি কক্ষের শিক্ষা নয়, এই শিক্ষা সমাজ, সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও পারিবারিক শিক্ষা। তরুণ প্রজন্মকে এই শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদকে খ-িতভাবে দেখার সুযোগ নেই। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এই সমস্যা মোকাবেলায় গণমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। হতাশা ও বিষন্নতা মানুষকে অন্যায়ের দিকে ধাবিত করে। গণমাধ্যম অনেক সময় নেতিবাচক সংবাদ তৈরি করে তাতে হতাশার সৃষ্টি হয়। তাই গণমাধ্যমকে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধে রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, শুধু আর্থিক অসচ্ছলতা নয়, হতাশ তরুণদের খুব সহজে জঙ্গিবাদে যুক্ত করা সম্ভব। তরুণটি কোন পরিবারের সেটা মূখ্য নয়, মূখ্য হলো সে তার সামনে কোন আশার আলো দেখতে পাচ্ছে কিনা। তাদের সামনে কোন রোল মডেল আছে কিনা। যাকে তারা আদর্শ জ্ঞান করে অনুসরণ করতে পারে। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ দমন করা না গেলে উন্নয়নের মহাসড়কে এগুনো বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বা এসডিজি অর্জন সম্ভব হবে না। এই লড়াইয়ে জিততে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকা- ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার মতো সহশিক্ষা কার্যক্রম জোরদার এবং পরিবার, রাষ্ট্র, সমাজ ও রাজনীতিতে বহুত্ববাদী চেতনার উন্মেষ ঘটানোসহ করাসহ দশটি প্রস্তাব তুলে ধরনে।

পছন্দের আরো পোস্ট