কুয়েটে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)- এ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০১৬ উপলক্ষ্যে র‌্যালী, আলোচনা সভা, আলোর মিছিল ও নাটক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হওয়া শোক র‌্যলীতে নেতৃত্ব দেন কুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। শোক র‌্যালীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যম্পাস ও ফুলবাড়ীগেট এলাকা ঘুরে অডিটরিয়ামের সম্মুখে এসে শেষ হয়। এরপর সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের অংশগ্রহনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

Post MIddle

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন কুয়েট ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এসময় তিঁনি বলেন, বুদ্ধিজীবীরা কখনও অন্যায় আর মিথ্যার কাছে মাথা নত করেনা। একটি দেশকে সামনের দিকে ধাবিত করার পিছনে বুদ্ধিজীবীরা সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দেন। দেশকে মেধা শুণ্য করার জন্যই ৭১ এর এই দিনে বেছে বেছে বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বুদ্ধিজীবীদের হারিয়ে দেশ শিক্ষা, চিকিৎসা, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে পড়েছে, এ ক্ষতি পুরন হওয়ার নয়। শহীদদের আকাঙ্খা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পুরকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুব আলম, তওই কৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রফিক, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার এবং অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইউআরপি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোস্তফা সারোয়ার, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি জি. এম. শহিদুল আলম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুয়েট শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী ইমতিয়াজ সোহান, ৩য় শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তৃতা করেন সহকারী পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) বিষ্ণু সরকার এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মনোজ কুমার মজুমদার। এছাড়া বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়ার অনুষ্ঠান, সন্ধ্যায় আলোর মিছিল এবং নাটক অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ১৫ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় অডিটরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের অংশগ্রহণে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী, ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবন, ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের বাসভবন এবং আবাসিক হলসমুহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৯টায় “দুর্বার বাংলা” চত্ত্বরে গণসংগীত, সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস-চ্যান্সেলর, সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীসহ “দুর্বার বাংলা” এর পাদদেশে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ, সকাল সাড়ে ১০টায় বিজয় শোভাযাত্রা, বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে শিক্ষক বনাম ছাত্রের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়ার অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যায় অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।#

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট