শীতের আবদার
ভুলে গেছি অগ্রাহণে ধানের মিঠা গন্ধ,
খোলা মাঠের হিম বাতাসে চেনা পাখির ছন্দ।
নতুন ধানের পিঠা, কুমড়ো ডালের বড়ি,
সবকিছু আজ বাস্তবতায় দিলাম একটু ছাড়ি।
খেঁজুর গাছে হেলে থাকা বিকেল বেলার গাছি!
গমের খেতে বক তাড়ানো খুকির নাঁচানাঁচি,
সরষে ফুলের হলদে দরদ থাকলো এবার দুরে,
পাবো কিনা দেখতো সে রুপ আবার বছর ঘুরে?
শোনা হলো না উত্তরের গাড়োয়ানের গান,
দেখা হলো না অগ্রহায়ণে সোনা ঝরা ধান!
কচু শাঁকে ছাচ পিঠা আজ আফসোঁসে থাক ঢেকে,
সন্ধ্যে বেলায় খেজুর রস খাওয়ায় না কেউ ডেকে।
গ্রামের মোড়ে হয়নি দেখা আগুন পোহানো,
কুয়াশার চাদরে সকাল রাত্রি মোড়ানো।
রাস্তা ধারে হয়নি বসা কারো অপেক্ষায়,
এ যেনো এক আজব শীত সব ভুলিয়ে দেয়।
ইট-পাথরের নগরে আজ বড্ড বেশী কাজী,
নিজের মত নিজেই চলি ধরে জীবন বাঁজী।
এমন শীতের আহ্বানে মন ছুটে যায় গায়ে,
যেখানে মোর মা জ্বি থাকে আমার পথটি চেয়ে।
ওমা আমি আসবো ফিরে তোমার কোলে আবার,
শীতটা তুমি জমিয়ে রেখো একটাই আবদার!!!!!!