গ্রীষ্মের ছুটিতে বই পড়ার প্রতিযোগিতায় প্রথম আমিরা

Amiraছোটবেলা থেকেই বই পড়ায় অভ্যস্ত করে তুলতে যুক্তরাজ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি গ্রন্থাগারগুলোও সময়ে সময়ে বই পড়ার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতি বছর ভিন্ন ভিন্ন থিমে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। এবার হেরিংগে লাইব্রেরি আয়োজিত প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল দ্য বিগ ফ্রেন্ডলি রিড।

গ্রীষ্মের ছুটিতে বই পড়ার প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার হিসেবে এসব জিতেছে ১১ বছর বয়সী আমিরা লাবিবা চৌধুরী। পুরস্কার হিসেবে চকচকে একটি সোনালি মেডেলও পেয়েছে সে।

‘কংগ্রাচুলেশনস আমিরা চৌধুরী’। দুই হাতের মাঝখানে তুলে ধরা সনদে এটাই লেখা। হাতে আরও আছে একটি ল্যাপটপ।আমিরার পৈতৃক বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে। বাবা আজাদ চৌধুরী ও মা রুলী চৌধুরী। লন্ডনের টোটেনহাম এলাকায় তাদের বাস।

Post MIddle

গেল গ্রীষ্মের ছুটিতে সামার রিডিং চ্যালেঞ্জ নামে বই পড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্থানীয় হেরিংগে লাইব্রেরি। স্থানীয় স্কুলগুলোর ইয়ার ফোর থেকে ইয়ার ইলেভেনের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়। আমিরা স্থানীয় গ্লেজেসমোর কমিউনিটি স্কুলের ইয়ার ইলেভেনর শিক্ষার্থী।

পুরস্কার হিসেবে পাওয়া সোনালি মেডেলআমিরা জানায়, গত জুন মাসে ছয় সপ্তাহের জন্য শুরু হয় গ্রীষ্মের ছুটি। ছুটির পুরোটা সময় চলে ওই বই পড়ার প্রতিযোগিতা। পাঠ্য বইয়ের বাইরে বিভিন্ন বিষয়ে বই পড়তে পছন্দ করা আমিরা ওই প্রতিযোগিতায় নাম লেখায়। ছুটির ছয় সপ্তাহে সে ছয়টি বই পড়ে শেষ করে। বইগুলোর ওপর জ্ঞান যাচাইয়ের পর মিলল প্রথম হওয়ার পুরস্কার। এখন পুরস্কার পেয়ে সে খুবই আনন্দিত।

আমিরার মা রুলী চৌধুরী বললেন, লন্ডনে এটা একটা চমৎকার উদ্যোগ। এতে শিশুদের বই পড়ার প্রতি বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়। পুরস্কার পেয়ে যেমন এখন আমিরা অনেক আনন্দিত এবং বই পড়তে উৎসাহী।

আমিরার বাবা আজাদ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে বসবাসরত জকিগঞ্জবাসীদের সংগঠন জকিগঞ্জ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি জানান, তার চার মেয়েই পড়ালেখায় মনোযোগী। তাদের উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সম্মান বাড়াতে চান।

পছন্দের আরো পোস্ট