
আমেরিকায় ১০ লক্ষাধিক বিদেশী শিক্ষার্থী

ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের কাউন্সেলর ও স্টেট ডিপার্টমেন্টে শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক দফতরের পদস্থ কর্মকর্তা পেগী ব্লুমেন্থাল বলেছেন, ক্যালিফোর্নিয়া হচ্ছে উচ্চ শিক্ষার তীর্থস্থান। প্রথিবী জুড়ে এর নেটওয়ার্ক বিস্তৃত।’
তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ক্যালিফোর্নিয়ার গুরুত্ব দিনদিন বাড়ছে। এই রাজ্যে শুধুমাত্র যে খ্যাতনামা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে বললে তা একেবারে সঠিক বলা হবে না। এ রাজ্যে অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে। যতটা আমার মনে পড়ে, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বরাবরই বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে, অথবা দ্বিতীয়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার জন্য আগত বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা বেড়েছে ৮৫ শতাংশ। এদের ৩৩ শতাংশেরও অধিক শিক্ষার্থী পড়েন ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা গণিত অথবা কম্পিউটার সায়েন্স। আর বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের গবেষণাকর্ম যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব অক্ষুন্ন রাখতে এভাবেই বিশেষ অবদান রাখছে ।
গত বছর এসব বিদেশি ছাত্ররা ব্যয় করেছেন ৩৫ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে কমপক্ষে ৫ বিলিয়ন ব্যয় হয় ক্যালিফোর্নিয়ায়। মার্কিন অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখতেও তারা অপরিসীম ভূমিকা রাখছেন বলে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছেন। শুধু তাই নয়, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নেও বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা বিশেষ ভূমিকা রাখছেন বলে উল্লেখ করা হয় স্টেট ডিপার্টমেন্টের রিপোর্টে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের দেয়া তথ্য মতে, সবচেয়ে বেশী ছাত্র-ছাত্রী এসেছে চীন থেকে ৩১.৫ শতাংশ। দ্বিতীয় শীর্ষে রয়েছে ভারত ১৫.৯ শতাংশ। সৌদি আরব ৫.৯ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া ৫.৮ শতাংশ, কানাডা ২.৬ শতাংশ, ভিয়েতনাম ২.১ শতাংশ, তাইওয়ান শতাংশ, ব্রাজিল শতাংশ, জাপান শতাংশ এবং মেক্সিকো শতাংশ। তবে শীর্ষে অবস্থানকারিী ১০ দেশের মধ্যে নেই বাংলাদেশ।
নিউইয়র্ক সিটিও আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রী গ্রহণে কার্পণ্য করে না। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে গত শিক্ষাবর্ষেও ১৫ হাজার ৫৪৩ জন বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ১২হাজার ৭৪০ জন।
আমেরিকান ছাত্র-ছাত্রীরাও উচ্চ শিক্ষার জন্যে বিদেশ যাচ্ছে। গ্র্যাজুয়েশনের সহায়ক বিভিন্ন কোর্সের জন্যে বিদেশে অবস্থানকারী মার্কিন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা মোট ২ লাখ ৭৫ হাজার অর্থাৎ আমেরিকান ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও একাডেমিক ক্রেডিটের জন্যে বিদেশপ্রীতি রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।####