জাবিতে প্রক্সিতে চান্সপ্রাপ্ত ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারী আটক

15310665_738818139604254_851632661_nজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) মৌখিক পরিক্ষা (ভাইভা) দিতে এসে প্রক্সি দিয়ে চান্স চাওয়ার অভিযোগে তিন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবনে মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসলে মূল উত্তর পত্রের সাথে তাদের দেওয়া তথ্য ও স্বাক্ষরের গড়মিল থাকায় ভাইভা বোর্ডের শিক্ষকরা তাদেরকে আটক করেন।

অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীরা হলেন, সি ইউনিটের ( কলা ও মানবিকী অনুষদ) দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী নাটোরের রেজাউল করিমের পুত্র কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট সাফার কলেজের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম (রোল নং ৩৩১১০৯)। একই ইউনিটে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী টাঙ্গাইল জেলার বাজিদপুর থানার রনজিৎ সাহের পুত্র ও মাহমুদুল হাসান কলেজের তপু সাহ (রোল নং ৩১৪৮১৭)।

এছাড়াও ব্যাবসা শিক্ষা অনুষদের (ই ইউনিট) ১৭৭ স্থান অর্জনকারী কুমিল্লার নেয়ামত উল্লার পুত্র ও সোনার বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান ( রোল নং- ৫১০৯৩৬) একই অভিযোগে আটক হন।

Post MIddle

মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডের সদস্য সহকারী অধ্যাপক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌখিক পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক অংশ গ্রহনকারীকেই তার স্বাক্ষার এবং বাংলা ও ইংরেজীতে দুইটি বাক্য মিলিয়ে দেখি যা মূল উত্তরপত্রের সাথে সংযোজন থাকে । এ প্রক্রিয়ার আটককৃত তিন জনের প্রদেয় স্বাক্ষর ও পরীক্ষার উত্তরপত্রের স্বাক্ষরের গড়মিল পাওয়া যায়। এছাড়াও উত্তর পত্রের বাক্য দুটি লেখার সাথে তাদের হাতের লেখার কোন মিল না পাওয়ায় তাদেরকে আমাদের সন্দেহ হয়।

পরে ডিন অফিসে সাংবাদিকদের সামনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা শিকার করেছেন, ভর্তি পরীক্ষায় সময় তাদের স্থলে অন্যরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছিল। এর মধ্যে রাকিবুল ইসলাম ( সি-২য়) বলেন, দুই লখ টাকা চুক্তির বিনিময়ে আমার পরীক্ষা অন্য আরেকজন দিয়ে দিয়েছিল।

কলা ও মানবিকী অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এসব জালিয়তির সাথে বড় একটি প্রতারক চক্র জড়িত আছে। আমি আশা করি এদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ মূল হোতাদের ধরে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, “অভিযুক্ত তিনজনকে আমারা পুলিশে দিয়েছি। ডিন অফিসের সুপারিশ অনুযায়ী তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অনুষদে কখনোই ভর্তি হতে পারবে না। তাদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি, আর পরবর্তী ব্যবস্থা রাষ্ট্রের আইন দ্বারা পরিচালিত হবে”।

পছন্দের আরো পোস্ট